ইইউ পার্লামেন্টে রেজুলেশন গ্রহণে হতাশ বাংলাদেশ

ইইউ পার্লামেন্টে রেজুলেশন গ্রহণে হতাশ বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ নিয়ে রেজুলেশন গ্রহণ করায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘অধিকার’ নামে এনজিও’র দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায় নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে যে রেজুলেশনটি গ্রহণ করেছে, তার ভাষায় একটি স্বাধীন দেশের বিচার ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা গেছে।

এতে আরও বলা হয়, যে রেজুলেশনটি গ্রহণ করা হয়েছে, সেটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশ আশা করে, তারা পারস্পরিক সম্মান ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো থেকে বিরত থাকার ভিত্তিতে অর্থবহ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে বজায় রাখবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাতযাপনের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছিল অধিকার।

তবে সরকারের ভাষ্য, সেই রাতের অভিযানে কেউ মারা যায়নি। শাপলা চত্বরে অভিযানের পর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম।

মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ নিয়ে রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়।