ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বাইডেন

ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বাইডেন

সংগৃহীত

ছেলে হান্টার বাইডেন ফেডারেল অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের।

দোষী সাব্যস্ত হলে হান্টার বাইডেনের সাজা হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার ছেলের সাজ ক্ষমা বা কমিয়ে দেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কারিন জিন পিয়ের একথা বলেন।

আদালতে হান্টার বাইডেন অভিযুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউস স্পষ্টভাবে বলেছে যে, তাকে প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করবেন না।

আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে। মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সম্পর্কিত তিনটি বিষয়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার ফেডারেল আদালতে তাকে অভিযুক্ত করেন প্রসিকিউটররা।

ক্ষমতা থেকে সরাতে বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্ত শুরুর ঘোষণার দুদিনের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হলেন ছেলে হান্টার বাইডেন।

বৃহস্পতিবার ডেলাওয়্যার আদালতে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যে তথ্যসহ কয়েকটি অভিযোগের চার্জ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। হান্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মাদকের ব্যবহার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেন।

অভিযোগে বলা হয়, বাধ্যতামূলক ফর্মে প্রত্যয়ন করে তিনি জেনে ও সজ্ঞানে কোনো উদ্দীপক, মাদকদ্রব্য ও অন্য কোনো পদার্থের বেআইনি ব্যবহারকারী এবং আসক্ত ছিলেন না মর্মে মিথ্যা ও কাল্পনিক বিবৃতি দেন, যা বেআইনি।

দেশটির আইন অনুযায়ী, হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনটির মধ্যে দুটিতে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং আরেকটিতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রেসিডেন্টের ছেলের বিরুদ্ধে উঠা কর ফাঁকির অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। ২০১৭-'১৮ সালে সাড়ে ১৩ লাখ ডলার আয়ের ওপর হান্টার কর দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে দোষী হলে তার এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি দাবি করেছেন যে, রিপাবলিকানরা তাকে সরাতে চায়।