এশিয়া কাপ ফাইনাল : ৫০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ ফাইনাল : ৫০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ ফাইনাল : ৫০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দুই দলের লড়াই, তবুও আরো একটা এশিয়া কাপের ফাইনালে। জমজমাট একটা লড়াইয়ের আভাস ছিল, বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠবে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে তা আর হতে দিলেন না সিরাজ, লজ্জ্বায় ডুবালেন লঙ্কানদের।

ফাইনালের উত্তেজনা এক ওভারেই শেষ করে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। এক ওভারে চার উইকেট তুলে নিয়ে ধসিয়ে দেন লঙ্কানদের। এরপর উইকেট আরো দুটো। সব মিলিয়ে মাত্র ২১ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। লঙ্কানদের দৌড় থামে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে। যা ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্ববিম্ন সংগ্রহ। আর এশিয়া কাপে যেকোনো দলের পক্ষেই যা সর্বনিম্ন স্কোর! আগেরটা ছিল বাংলাদেশের, পাকিস্তানের কাছে ২০০০ সালে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বলা যায় বাংলাদেশকে লজ্জা থেকেই মুক্তি দিল শ্রীলঙ্কা।

চতুর্থ ওভারে এসে প্রথম বলেই পাথুম নিশানকাকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ বলে ২ রান করে লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন তিনি। এক বল পর সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও সাজঘরের পথ দেখান এই পেসার। ০ রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি।

আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সামারাবিক্রমা ফেরার ধাক্কা সামলে উঠার আগেই পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে হারিয়েছে লঙ্কানরা। এই ব্যাটারকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন সিরাজ।

তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন সিরাজ, যদিও তা হয়নি। তবে পঞ্চম বলে ঠিকই উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে উইকেট কিপারের ক্যাচ বানান সিরাজ।

পরের ওভারে এসেই পূরণ করেন পাঁচ উইকেটের মাইলফলক। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেন তিনি। ফেরান ৪ বলে ০ রানে। সে সময় তার বোলিং রেকর্ড ছিল ২-১-৪-৫!

লঙ্কানদের পরবর্তী ধাক্কাটাও দেন সিরাজ। এবার ফেরান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুশল মেন্ডিসকে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ১৭ রান করে বোল্ড হন মেন্ডিস। ১১.২ ওভারে ৩৩ রানে ৭ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

বাকি কাজটা সারেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন হেমান্থ। মেন্ডিস আর হেমান্থ বাদে কেউ আর দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। 

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। সব প্রস্তুতি থাকার পরও নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি, হঠাৎ বৃষ্টিতে ৩০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। 

এরপরই বুমরাহর আঘাত। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ভাঙেন লঙ্কানদের উদ্বোধনী জুটি। কুশল পেরেরাকে কোনো রান করার আগেই ফিরিয়েছেন এই পেসার। দলীয় সংগ্রহে তখনো কোনো রান যোগ হয়নি।

৭ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। এশিয়া কাপ ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ১৩ রানে ৬ উইকেট ছিল আরেক লঙ্কান অজান্তা মেন্ডিসের।