বাংলাদেশ-জার্মানির মধ্যে দু’টি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

বাংলাদেশ-জার্মানির মধ্যে দু’টি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

সংগৃহীত

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ এবং চামড়া খাতে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দু’টি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তির প্রকল্পগুলোর শিরোনাম: ‘সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ এবং সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকা (সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড) সমন্বিত ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘ট্যানারিগুলোতে ভাল কাজের পরিবেশ (জিওটিএএন)’।

মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে জার্মান সরকারের পক্ষে জিআইজেড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

‘সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস এবং সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকা (সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড)-এর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে’র জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরো সহয়তা দেয়া হবে। তিন বছর মেয়াদের মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।  

পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৎস্য (ডিওএফ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সরকার ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর সারফেস এলাকা নিয়ে এসওএনজি’কে দেশের প্রথম মেরিন সুরক্ষা এলাকা হিসেবে মনোনীত করেছে।

মূলত বিস্তৃত ‘নীল সুন্দরবন’ এলাকাকে সহায়তার লক্ষে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে চলমান প্রকল্পে চাহিদা ভিত্তিতে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মূল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সমন্বয় প্রক্রিয়া উন্নত করা সামুদ্রিক সুরক্ষিত অতলস্পর্শী এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং টেকসই ব্যবহার সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা এবং বিএফডি’র ক্ষমতা জোরদার করা। ‘ট্যানারিগুলোতে ভাল কাজের পরিবেশের জন্য প্রকল্পটিতে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট  ৪ মিলিয়ন ইউরো তহবিল (জিওটিএএন)’ সহায়তা প্রদান করা হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগ (ডিআইএফই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।