দু’বছর আগে বন্যায় কালভার্টটি ভেঙ্গে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন আর কোন উদ্যোগ নেয়নি

দু’বছর আগে বন্যায় কালভার্টটি ভেঙ্গে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন আর কোন উদ্যোগ নেয়নি

দু’বছর আগে বন্যায় কালভার্টটি ভেঙ্গে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন আর কোন উদ্যোগ নেয়নি

পাবনার বেড়া উপজেলায় দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো, সেটাও আবার ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাও প্রাইমারী স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকোর উপর দিয়ে পার হতে হয়।

উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বক্তারপুর খালের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে রাকসা বাজার পাড়ি দিয়ে উপজেলা শহরে আসতে হয় হাজার হাজার মানুষের। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন পথচারী এবং এলাকাবাসী।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, ভেঙে পড়া কালভার্টটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের বার বার জানানো হলেও তা কর্ণপাত করছেন না।

জানা যায়, এখানে যে কালভার্টটি ছিল দু’বছর আগে সেটি বর্ষায় ভেঙ্গে গেলে সংস্কারের কোনো উদ্যাগে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে ওই স্থানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এতে বক্তারপুরসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটিও ভেঙে গেছে। এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আজমল হোসেন জানান, দ্রুত সময় কালভার্টটি সংস্কার করা হলে একদিকে যেমন জন সাধারণের দুর্ভোগ কমবে; তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে। পথচারী কাইয়ুম আলি জানান, পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়; কিন্তু ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকোর কারণে আমাদেও ছোট ছোট  কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না। শুধু তাই নয়; সামনে মসজিদ থাকা সত্বেও ঠিকমতো মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন না মুসল্লিরা। আব্দুল মালেক নামে এক ভ্যান চালক বলেন,বক্তারপুর থেকে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন রাকসা বাজার হয়ে উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি কিন্তু এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে গর্ভবতী মা, বোন এবং রোগীকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রফিক উল্লাহ জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন,আপাতত: চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা হবে। তারপর বর্ষা মৌসুম শেষ হলে বরাদ্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সবুর আলি এ প্রতিবেদককে জানান,  ইতোমধ্যেই বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।