চবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

চবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলের সম্মুখে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নয়া দিগন্তের চবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাহ-আমানত হল ও শাহ-জালাল হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানিয়েছে, ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘সিএফসি’ গ্রুপ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা চট্টগ্রাম সিটি করপেপারেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদাফ খান এবং সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ওরফে টিপু। সংঘর্ষের সময় সিক্সটি নাইন শাহজালাল হল ও সিএফসি শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে হল গেইটের বাইরে বেরিয়েও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে উভয় গ্রুপের কর্মীরা।

সিএফসি গ্রুপের নেতা সাদাফ খান বলেন, আকিব জাবেদ নামে সিক্সটি নাইনের এক কর্মী এর আগে আমাদের উপ-দফতর সম্পাদক রমজানকে কুপিয়ে জখম করেছিল। আজকেও সে নেশা করে হলের সামনে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। বিষয়টি দেখে আমাদের কর্মীরা বাধা দেয়। এরপর কথা কাটাকাটির জের ধরে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে আমাদের পাঁচ-ছয়জন কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইনের নেতা সম্রাট বলেন, আমাদের একটা ছেলে ওদের (শাহ আমানত) হলের সামনে দিয়ে আসলে ওদের (সিএফসি) কয়েকটা ছেলে মিলে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। এর মধ্যে ছিল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক রমজান। পরে আমাদের এক জুনিয়র এর প্রতিবাদ করলে ওরা তাকে মারধর করে এবং হেলমেট পরে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত আমাদের তিনজনকে চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের পক্ষ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছি। এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।