মোবাইলেই তুলুন অসাধারণ সব ছবি

মোবাইলেই তুলুন অসাধারণ সব ছবি

সংগৃহীত

স্মার্টফোন প্রথম যখন বাজারে আসে তখন এর সঙ্গে থাকা ক্যামেরা নিয়ে নির্মাতাদের কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। মোবাইলের সঙ্গে মানানসই ও উন্নতমানের ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের আলাদা প্রশান্তি দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং যেকোনো ডিজিটাল জগতে মোবাইল ফটোগ্রাফি

এখন খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাইলে এখন ফটোগ্রাফারদের ডিএসএলআর ক্যামেরার পেছনে অর্থ ব্যয় না করলেও চলে। কেননা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়েই পেশাদার মানের ছবি তোলা সম্ভব। তবে সে জন্য মেনে চলতে হবে কিছু কৌশল।

ফোনের ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখা দরকার

দীর্ঘদিন মোবাইল ব্যবহারের কারণে মোবাইলে থাকা ক্যামেরা লেন্সে ধুলোবালি জমে নোংরা ও ঘোলাটে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ফোকাসিং সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ক্যামেরার লেন্স এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার রখা উচিত। একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়েই কাজটা চালিয়ে নেওয়া যায়। পুরনো টি-শার্টের কাপড় সবচেয়ে উপযোগী এই কাজে।

জুমের সঠিক ব্যবহার করতে হবে

কয়েক বছর আগেও স্মার্টফোনে অপটিক্যাল জুমের ক্যামেরার বেশ অভাব ছিল। অপটিক্যাল জুমের বিপরীতে ব্যবহার করা হতো ডিজিটাল জুম। ফটোগ্রাফির গুণগত মানকে একটু কমিয়ে দেয় ডিজিটাল জুম, তবে এখন বেশির ভাগ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে অপটিক্যাল জুমসহ এক বা একাধিক ডেডিকেটেড লেন্স থাকে। উদাহরণস্বরূপ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রাতে ৩x ও ১০xঅপটিক্যাল জুমসহ দুটি টেলিফটো সেন্সর রয়েছে। এর মানে আপনি ডিজিটাল জুম ব্যবহার না করেই দুটি ফোকাল লেন্থে একটি বিষয় জুম করতে পারবেন।

ছবি তোলার সময় হাত স্থির রাখতে হবে

ছবি তোলার সময় স্থির হাত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাতের অতিরিক্ত নড়াচড়া যেকোনো ছবিকে অস্পষ্ট করে তোলে। কম আলোতে ছবি তোলার সময়ও এটি জরুরী।
অনেক সময় রাতের বেলা নাইট মোডে ছবি তোলার ক্ষেত্রে হাত স্থির থাকলে ক্যামেরা ও শাটার দীর্ঘ সময় ধরে আলো নিতে পারে এবং ছবির কোয়ালিটি ভালো হয়।

ভালো ছবি তুলতে আলোর প্রয়োজন

পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ছবি তোলার জন্য অপরিহার্য। প্রাকৃতিক আলো যথেষ্ট পরিমাণ না থাকলে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা উচিত। ছবি তুলতে হবে আলোর উৎসর বিপরীত দিক থেকে। তবে কম আলোয়ও সৃজনশীল ও ভালো ছবি তোলা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফারের চিন্তাশক্তি ও ভাবনা প্রখর হতে হবে।

ফোনেই করুন ছবির সম্পাদনা

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনে ফটো এডিটিং ক্ষমতা অনেক দূর এগিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের জন্য এডিটিং এখন শিল্পের পর্যায়ে আছে বলা চলে। যেকোনো ভালো মানের এডিটিং অ্যাপে রং, হাইলাইটার, সাইজ ইত্যাদি পরিবর্তন করে নিতে পারেন পছন্দমতো, তবে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।