মাঠ প্রশাসনের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ শুরু

মাঠ প্রশাসনের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ শুরু

ফাইল ছবি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হচ্ছে আজ রোববার থেকে। এদিন চারটি ব্যাচে একশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রতিটি ব্যাচকে দুদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৭ অক্টোবর বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচনি আইন ও বিধির সংশোধনী এবং হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ এবং সার্বিক নির্দেশনা দিতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। বিগত নির্বাচনে তফশিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একদিনের ব্রিফিং দিত নির্বাচন কমিশন। এবার তফশিল ঘোষণার আগেই দু’দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

ইউএনওদের প্রশিক্ষণ শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও), ইসির বিভিন্ন বিধিমালা ও নীতিমালায় সংশোধনী এসেছে। এসব সংশোধনী ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনকে প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে এক হাজার ১৪ ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের মধ্যে ৪৯২ ইউএনও এবং ৫২২ থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে মোট ৪১টি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আজ শুরু হয়ে চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

ইউএনও এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ৯টি ব্যাচে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকেন। ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ প্রশাসনের বিদ্যমান কর্মকর্তাদের বড় অংশই আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন- এমনটি ধরেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ইসি।