ইইউ’র গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজি বাংলাদেশকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করবে

ইইউ’র গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজি বাংলাদেশকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করবে

ইইউ’র গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজি বাংলাদেশকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করবে

ইউরোপীয় কমিশনের ডিরেক্টরেট-জেনারেল ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস (আইএনটিপিএ) এর মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিচালক পিটারিস উস্তুবস বলেছেন, গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজি টেকসই ও স্মার্ট উপায়ে সবুজ জ্বালানি রূপান্তরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ইইউ’র একটি প্রচেষ্টা। আমরা বিশ্বাস করি এটি ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতার দীর্ঘস্থায়ী নতুন যুগের সূচনা করবে। বর্তমান সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।’

গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের বিষয়ে ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পিটারিস উস্তুবস বাংলাদেশ সফর করেন।

ইইউ’র গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজির পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করতেই তার এই সফর। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি দক্ষতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আঞ্চলিক জ্বালানি সংযোগ এবং টেকসই উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় ইইউ।

ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে শক্তিশালী করা

ঢাকায় ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, গ্লোবাল গেটওয়ে স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ইইউ-বাংলাদেশ জ্বালানি সহযোগিতা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।তার পরিদর্শনকালে উস্তুবস বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় সেখানে সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে পরিচালক উস্তুবস বলেন, ‘কৌশলগত অবস্থান, চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, গতিশীল সমাজ, আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন প্রভৃতির জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের প্রচেষ্টার একটি মূল অংশীদার।’

তিনি বিশেষভাবে আসন্ন গ্লোবাল গেটওয়ে ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ‘বাংলাদেশ রিনিউয়েবল এনার্জি ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা এবং আঞ্চলিক জ্বালানি সংযোগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে সহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন।

সাধারণ সহযোগিতার বিষয় এবং আসন্ন ইইউ হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মানব কবির এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলমের (অব.) সঙ্গে আলোচনা করেছেন উস্তুবস।

এই সফরে উস্তুবসের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, আইএনটিপিএ-এর দুই ইইউ প্রতিনিধি- হেড অব সেক্টর ফর সাসটেইনেবল এনার্জি ইনগ্রিড ক্যালহোল, হেড অব সেক্টর ফর সাউথ এশিয়া অড্রে মেলোট এবং বাংলাদেশের ইইউ প্রতিনিধি দল।

এই সফরে তারা ইইউ‘র অর্থায়নে চলমান কিছু প্রকল্পও পরিদর্শন করেন। যার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অধীনে পাওয়ার ফ্যাক্টর ও স্মার্ট গ্রিড এবং সামাজিক সমস্যা সমাধান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কড়াইল বস্তিতে ইউনিসেফের অর্থায়নে এবং ইইউ ও এএফডি’র সহ-অর্থায়নে একটি চলমান প্রকল্প।

এ ছাড়াও উস্তুবস ডেকো রেডিওয়্যারস লিমিটেড নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেছেন, যাতে সন্তোষজনক কাজের এজেন্ডায় ইইউ-এর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়।গ্লোবাল গেটওয়ে হলো নতুন ইউরোপীয় কৌশল। যা ডিজিটাল, জ্বালানি এবং পরিবহন খাতে স্মার্ট, পরিষ্কার ও সুরক্ষিত সংযোগগুলো বাড়িয়ে তুলতে এবং সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি