আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন সিসি

আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন সিসি

সংগৃহীত

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি সোমবার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আগামী ডিসেম্বরে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচনে অংশ নেবেন। এদিকে বিরোধী দলগুলো অীভযোগ করছে, অন্য যেসব প্রার্থী সিসির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাচ্ছেন, তাদের নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে।

কায়রোর বাইরে মরুভূমিতে নতুন রাজধানী নির্মাণের নীতি নির্ধারণ করতে আয়োজিত তিন দিনের সম্মেলনের সমাপনী বক্তৃতায় সিসি বলেন, 'আমি এখন মিসরীয়দের ডাকে আগের মতো সাড়া দিয়েছি, আমি আবারো তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছি।'

তিনি বলেন 'আমরা আমাদের নতুন প্রজাতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। আমরা রাষ্ট্রের টিকে থাকা এবং আধুনিকাত ও গণতেন্ত্রর ভিত্তির ওপর একে পুনঃনির্মাণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই।'

সাবেক সেনাপ্রধান সিসি ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। তিনি সহজেই জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চার বছর আগে সংবিধানের সংশোধন করা হয়েছে, তার আলোকে তিনি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার সমর্থকেরা বিলবোর্ড এবং পাবলিক মেসেজের মাধ্যমে তাকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করে আসছিল।

দিকে সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং সিসির সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী আহমদ আল-তানতাবি অভিযোগ করেছেন, তার প্রার্থিতার ব্যাপারে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদেরকে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে।

তবে মিসরের জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছে। মিসরের সংবিধান অনুযায়ী, সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে ২৫ হাজার মানুষের সই কিংবা পার্লামেন্টের ২০ জন সদস্যের সমর্থন জমা দিতে হয়।

সিসি ২০১৩ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ৯৭ ভাগ ভোটে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

তার শাসনকালে ভিন্ন মতালম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, লাখ লাখ লোককে কারাগারে রাখা হয়েছে। মিসরের সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির নেতাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে কিংবা নির্বাসিত করা হয়েছে।

এদিকে দেশটিতে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার সার্বক্ষণিক সঙ্কটও রয়েছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর