ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু

ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু

ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু

পানির তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে গত সপ্তাহে ১০০ টিরও বেশি ডলফিন মারা গেছে।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, পানির তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলে শিগগিরই আরও অনেক ডলফিন মারা যেতে পারে।

ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা দল মামিরুয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তেফে হ্রদের আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।ইনস্টিটিউটের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শকুনেরা সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ তুলে নিচ্ছে। হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হ্রদগুলোর পানির উচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রাণির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ।গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে।

ব্রাজিল সরকারের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা পশুচিকিত্সক ও জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে।মামিরাউয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক মরিয়ম মারমন্টেল বলেন, টেফে লেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ডলফিন ছিল।মারমন্টেল বলেন, ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে আমরা ১২০টি প্রাণী হারিয়েছি, যা মোট সংখ্যার ৫-১০ শতাংশ।

খরার কারণে শুক্রবার আমাজোনাসের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।নিকসন মারেইরা ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর টেফের মেয়র।তিনি বলেন, নদীশুষ্ক হওয়ায় তার সরকার কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না।

মামিরুয়া ইনস্টিটিউটের জিওস্প্যাটিয়াল কোঅর্ডিনেটর আয়ান ফ্লিশম্যান বলেন, আমাজন অঞ্চলের নদীতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর ওপর খরার বড় প্রভাব পড়েছে।তিনি বলেন, অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, ভালো মানের পানি পাচ্ছে না, নদীতে নৌকা চালাতে পারছে না। অথচ তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী।

ফ্লিশম্যান বলেন, পানির তাপমাত্রা শুক্রবার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৯ ফারেনহাইট) থেকে বেড়ে রবিবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়েছে।তিনি আরও বলেন, তারা এখনও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রধান কারণ বলেই তাদের সন্দেহ।

সূত্র : ইউএনবি