টপ-অর্ডারদের হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড

টপ-অর্ডারদের হারিয়ে চাপে ইংল্যান্ড

সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাপিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও দাপট দেখাচ্ছে আফগানরা। ইনিংসের ১৩তম ওভারের মধ্যে ইংলিশদের টপ-অর্ডারের তিন উইকেট তুলে নিয়ে তাদের বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে রশিদ-নবিরা।

দলীয় ৩ রানের মাথায় ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান আফগান পেসার ফজল হক ফারুকী।

এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মালানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জো রুট। বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। তবে ব্যক্তিগত ১১ রানে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মুজিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে মালানের সঙ্গে গড়েন ৩০ রানের জুটি।

এরপর ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি ওপেনার মালান। ইনিংসে ১৩তম ওভারে নবির বলে জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৪ চারে ৩৯ বলে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭২ রান। বাটলার ৩ রানে এবং হ্যারি ব্রুক ক্রিজে আছেন ১৩ রানে।

এর আগে, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিমায়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে ২৮৪ রান তুলে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এদিন অভিষিক্ত ইকরাম ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় আফগানিস্তান। দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে নতুন বলে পাত্তাই পায়নি মার্ক উড-রিস টপলিদের মতো ইংলিশ পেসাররা। বিশেষ করে ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন গুরবাজ। ব্যক্তিগত ফিফটি পেতে মাত্র ৩৩ বল খরচ করেন।

গুরবাজকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে তিনি বেশি দূর যেতে পারেননি। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে আদিল রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি এই ওপেনার। বল চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা জো রুটের হাতে। এতে ১১৬ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ৪৮ বলে ধীরগতির ২৮ রান করে ফেরেন ইব্রাহিম।

এরপর সেঞ্চুরির পথে থাকা গুরবাজকে সঙ্গ দিতে তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রহমত শাহও। আদিল রশিদকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। উইকেটের পেছনে বাটলার স্টাম্প ভাঙতে খুব একটা সময় নেননি। এতে মাত্র ৩ রান এসেছে রহমতের ব্যাট থেকে।

রহমত ফেরার পরের বলে ফিরেছেন গুরবাজও। এই ওপেনার খানিকটা আক্ষেপ করতেই পারেন-শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন, সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন। তবে ভাগ্য তার সঙ্গে ছিল না! কাটা পড়েছেন রান-আউটে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এরপর হাশমতউল্লাহ শাহিদি-আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।

মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত ছিলেন ইকরাম আলিখীল। তিনি ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পেয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮ রান। লোয়ার মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন রশিদ খান-মুজিব উর রহমানরা। রশিদের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান, মুজিব ফেরেন ২৮ রান করে। সবমিলিয়ে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দাঁড় করায় আফগানরা।