খুলে দেওয়া হলো ফার্মগেটের নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ

খুলে দেওয়া হলো ফার্মগেটের নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ

সংগৃহীত

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেটে নির্মাণ করা দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ফুটওভার ব্রিজ পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন পদব্রিজ পেয়ে পথচারীরা আনন্দিত। তবে তারা শঙ্কায় আছেন সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি আবার না হকারদের দখলে চলে যায়।

রোববার (১৫ অক্টোবর) এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের কারণে প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় পুরোনো ফুটওভার ব্রিজটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। পরে নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর ব্রিজটি প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পথচারীদের চলাচলের জন্য স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বা এস্কেলেটরের দাবি তুলেছেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারীরা।

 

গত বছর মে মাসে ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি ১৩২ ফুট লম্বা ও প্রায় ১৮ ফিট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের চিত্র উপভোগ করতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই উঠানামার জন্য তিনটি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ এরও সুবিধা রাখা হবে।

ফুটওভার ব্যবহারকারী এক পথচারী বলেন, পদব্রিজটি দীর্ঘদিন পর চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রশস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে আধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।

আরেক পথচারী বলেন, আমরা প্রায়ই দেখেছি যে, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প চালু হলে তা কয়েক দিনের মধ্যেই হকারদের দখলে চলে যায়। নতুন ওভার ব্রিজও তাদের চলে যাবে না তার নিশ্চয়তা নেই। এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

মূলত রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতেও ছিলেন পথচারীরা। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগলেও বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।