দুই মন্ত্রীর আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ

দুই মন্ত্রীর আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ

ফাইল ছবি

পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

শুনানিতে দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আইনের পুরো প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ক্ষমতাবলেই সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী পিরোজপুর ১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এই সীমানা পুনর্নির্ধারণ কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলেও সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারীরা।

গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলাকে। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। দুটি আসনের এই সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।