একবিংশ শতকের বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন

একবিংশ শতকের বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা বলেছেন,পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তায় গুরুত্ব দিতে হবে।

 

কারণ একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় দুটো চ্যালেঞ্জ খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন। (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘পানি জীবন, পানিই খাদ্য। কেউ থাকবেনা পিছিয়ে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কারিতাসের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, মানববন্ধন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও খাদ্য বিতরণ করা হয়। মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মেহেরীন যারীন তাসমীম, মোতামাইন্ন বেগম রিনা, কারিতাস উদ্যম প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ মো. আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্ব খাদ্য দিবসে খাদ্য সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়ানো ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তায় গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় দুটো চ্যালেঞ্জ খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা’র মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯ বিলিয়নে পৌঁছাবে। তখন খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ৮৫% বৃদ্ধি পাবে। খরা, ভারী বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রার তারতম্য, লবণাক্ততা এবং কীটপতঙ্গের আক্রমণের কারণে কৃষি খাত হুমকির মুখে পতিত হবে। বক্তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে নিন্ম আয়ের মানুষেরা কম খেয়ে জীবনযাপন করছেন। খাদ্য নিরাপত্তায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। টেকসই কৃষি খাদ্যব্যবস্থা, পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা, সেবাগ্রহীতাদের উত্তরণে একটি সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনাসহ শক্তিশালী মনিটরিং ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা। প্রান্তিক, শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্ত মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে সে জন্য নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুরক্ষার জন্য জলবায়ু সহনশীল, পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা এবং পারিবারিক কৃষির সাথে সংশ্লিষ্টদের অধিকারকে সমুন্নত রাখা। মূল্যের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পাইকারি ও খুচরা উভয় ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বাজার তদারকি নিশ্চিত করা। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ‘মূল্য কমিশন’ গঠনের জরুরী উদ্যোগ গ্রহণ করা।