দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্নর হুমকি উত্তর কোরিয়ার

দক্ষিণের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্নর হুমকি উত্তর কোরিয়ার

ছবি:সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার পলাতক অ্যাক্টিভিস্টদের বৈরি কার্যকলাপের অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে পিয়ং ইয়ং৷ সামরিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে হটলাইন বন্ধ করার আসল কারণ নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে বেশ কিছুকাল ধরে মোটামুটি সন্তুষ্ট রেখে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্বের সঙ্গে পিয়ং ইয়ংয়ের সংঘাতের মাঝেও সিউলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি৷ কিন্তু এবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আপাতত দুই দেশের মধ্যে সব হটলাইন বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছে পিয়ং ইয়ং৷ মঙ্গলবার সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে৷ এর আওতায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে দুই কোরিয়ার মৈত্রী দপ্তর, সামরিক বাহিনী ও প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মধ্যে হটলাইন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷ সোমবার থেকেই নিয়মিত রুটিন যোগাযোগে ব্যাঘাত শুরু হয়েছে৷

আসলে গত কয়েক দিন ধরে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের কড়া সমালোচনা করে আসছিল৷ বেড়ে চলা এই রোষের কারণ উত্তর কোরিয়ার পলাতক নাগরিক, যারা দক্ষিণ সীমান্ত থেকে লিফলেট ও প্রচারণার অন্যান্য উপকরণ উত্তরে পাচার করছে৷ তবে পিয়ং ইয়ং এই কারণ দেখালেও এমন আচরণের পেছনে করোনা সঙ্কটের ফলে বেড়ে চলা অর্থনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে নাজেহাল অবস্থা কাজ করছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, এই অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে কিছু সুবিধা আদায় করতেই যোগাযোগ ছিন্ন করে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে কিম জং উনের প্রশাসন৷ সঙ্কট ও আচমকা ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে প্রতিদিন দুই পক্ষের মধ্যে হটলাইনে কথা হয়৷ সেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে দক্ষিণ কোরিয়া গভীর দুশ্চিন্তায় পড়বে, এমনটা জেনেই উত্তর কোরিয়া সম্ভবত বৈরী আচরণ করছে৷

উল্লেখ্য, পলাতক অ্যাক্টিভিস্টদের কার্যকলাপে রাশ না টানলে গত সপ্তাহেই পিয়ং ইয়ং এক দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি বর্জন করার হুমকি দিয়েছিল৷ কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং স্বয়ং এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এমনটা চলতে থাকলে দক্ষিণ কোরিয়াকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে৷ উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ থেকে প্রচারণামূলক লিফলেটের চোরাচালান বরদাস্ত করবে না৷ এর আগে প্রায় পাঁচ লাখ এমন লিফলেট বিতরণ করা হয়েছিল বলে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে৷ তাতে নতুন কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকির জন্য কিম জং উনের কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল৷

সূত্র : ডয়চে ভেলে