সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

ছবিঃ সংগৃহীত।

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল চেম্বারের ছড়াছড়ি। 

হাতেগোনা কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে অনুমোদন ছাড়াই। মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও পরে সিভিল সার্জন অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অদৃশ্য ইশারায় তা পুনরায় চালু হয়।

 

সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়। সিভিল সার্জন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক লাইসেন্স দেন। কিন্তু অনেকে আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করেছেন। আবার কেউ কেউ লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।

একটি ১০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ৩জন এমবি বিএস ডাক্তার, ৬ জন ডিপ্লোমাধারী নার্স, ১ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ১ জন এক্স-রে টেকনিশিয়ান, ৪ জন আয়া, ৪ জন বয়, ১ জন গার্ড ও ান্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি থাকার কথা। যেসব হাসপাতালে বেড সংখ্যা বেশি সেখানে ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এসবই নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

 

একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ারসার্ভিস সনদ, মাদক সনদ, পৌরসভা অনাপত্তি পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টিন ও ভ্যাট সনদ থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে নেই এসব কাগজপত্র।

পৌর এলাকার নূরানী হাসপাতাল, জমিলা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সফি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনেসিনা প্যাথলজি, এস আলম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আলিফ প্যাথলজি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেই চালিয়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।

 

বিগত জুন মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন, ইউএইচও ইসরাত জাহান ডাক্তার না থাকায়, অপারেশন থিয়েটার অপরিস্কার থাকায়, সোনাইমুড়ী জেনারেল হাসপাতাল, আল খিদমাহ জরুরী ও নরমাল ডেলিভারী হাসপাতালে অপমৃত্যু জনিত কারনে, পপুলার হাসপাতাল ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায়, আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন না থাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্ধ করে দেয়। সপÍাহ না যেতেই নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের লোক এসে তা চালু করে দিয়ে যায়।

জাতীয়সারাদেশরাজনীতিআন্তর্জাতিকখেলাধুলাঅর্থনীতিবিনোদনতথ্য প্রযুক্তিইসলাম ও ধর্মশেয়ারশিল্প ও সাহিত্যস্বাস্থ্য

 

  জিয়াউর রহমান মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান কুশীলব : তথ্যমন্ত্রী থানার ব্যারাকে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ মাহমুদ আব্বাস বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন জন্মদিনে শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

/

সারাদেশ

 

সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

খোরদেশ আলম, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী)

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:০১

 

facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonsharethis sharing button

 

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল চেম্বারের ছড়াছড়ি। হাতেগোনা কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে অনুমোদন ছাড়াই। মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও পরে সিভিল সার্জন অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অদৃশ্য ইশারায় তা পুনরায় চালু হয়।

 

সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়। সিভিল সার্জন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক লাইসেন্স দেন। কিন্তু অনেকে আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করেছেন। আবার কেউ কেউ লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

একটি ১০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ৩জন এমবি বিএস ডাক্তার, ৬ জন ডিপ্লোমাধারী নার্স, ১ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ১ জন এক্স-রে টেকনিশিয়ান, ৪ জন আয়া, ৪ জন বয়, ১ জন গার্ড ও ান্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি থাকার কথা। যেসব হাসপাতালে বেড সংখ্যা বেশি সেখানে ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এসবই নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

 

একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ারসার্ভিস সনদ, মাদক সনদ, পৌরসভা অনাপত্তি পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টিন ও ভ্যাট সনদ থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে নেই এসব কাগজপত্র।

 

 

পৌর এলাকার নূরানী হাসপাতাল, জমিলা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সফি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনেসিনা প্যাথলজি, এস আলম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আলিফ প্যাথলজি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেই চালিয়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।

 

বিগত জুন মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন, ইউএইচও ইসরাত জাহান ডাক্তার না থাকায়, অপারেশন থিয়েটার অপরিস্কার থাকায়, সোনাইমুড়ী জেনারেল হাসপাতাল, আল খিদমাহ জরুরী ও নরমাল ডেলিভারী হাসপাতালে অপমৃত্যু জনিত কারনে, পপুলার হাসপাতাল ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায়, আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন না থাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহ না যেতেই নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের লোক এসে তা চালু করে দিয়ে যায়।

 

 

সোনাইমুড়ী হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী আবু তাহের, অফিস সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ম্যানেজ করলেই সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার নির্দেশ দেন বন্ধ হাসপাতাল খুলে দিতে। ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অনৈতিক সুবিধা না দিলেই হাসপাতালে চলে অভিযান। লাইসেন্স নাবায়ন, নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য তাদের খুঁশি করতে হয়।

 

সোনাইমুড়ীর পপুলার হাসপাতালের পরিচালক মামুন জানান, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে দানবের মত এসে টাকা নিয়ে যায়। একেকটি হাসপাতাল খুলতে ওই অফিসে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়।

 

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি বন্ধ হাসপাতাল চালু করতে কোন লেনদেন করেন না।

 

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইসরাত জাহান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র ও লোকবল না থাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাসপাতাল বন্ধ করা হয়।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বলেন, বন্ধ হাসপাতাল খুলতে তার অফিসের লোকজন কোন টাকা নেয়না। সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।