বগুড়ায় ড্রেনে কারারক্ষির লাশ

বগুড়ায় ড্রেনে কারারক্ষির লাশ

ছবিঃ সংগৃহীত।

বগুড়া জেলা কারাগারের প্রাচীর সংলগ্ন কালভার্টের ড্রেনের মধ্যে পড়ে থাকা কারারক্ষি একরামুল হকের(৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে বগুড়া সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

 

কারারক্ষি একরামুল হক (বিডিজে ২০২৯) গত দুই বছর ধরে বগুড়া জেলা কারাগারে কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার কান্তা গ্রামের মৃত রহীম উদ্দিন মাস্টারের পুত্র।

বগুড়া জেলা কারাগারে কর্মরত নিহত কারারক্ষি ও একরামুল হকের শ্যালক রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কারাগারের ২ নং গেটে একরামুল হকের ডিউটি ছিল। রাত ১ টার দিকে কারাগারের ব্যারাক থেকে একরামুল হক ডিউটি পোস্টে যায়। এরপর আর ব্যারাকে ফিরে আসেননি।

 

এর পর বৃস্পতিবার সকাল থেকেই তার সহকর্মীরা বিভিন্নস্থানে খোঁজা-খুঁজি করছিলেন। বিকেল ৪ টার দিকে অপর কারারক্ষি মামুন ২ নং গেটে ডিউটি পোস্ট সংলগ্ন গভীর ড্রেনে একরামুল হকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সংবাদ দেন।

কারারক্ষি মামুন বলেন, রাত ৩ টায় ২ নং গেটে আমার ডিউটি থাকলেও অসুস্থতার কারনে যেতে পারিনি। একারনে ডিউটি পোস্টে একরামুল হকের সাথে আমার দেখা হয়নি।

 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে, জেলা কারাগারের দক্ষিন পুর্বপার্শ্বে গভীর ড্রেনের পানিতে একরামুলের লাশ উপর হয়ে পড়েছিল। মাথার পিছন থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। সরকারি পোশাক পড়নে ছিল।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, রাত ৩ টায় মামুন ২ নং গেটে একরামুলের সাথে ডিউটি বদলী হতো। ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকায় মামুন কিছু বলতে পারে না।সকাল থেকে একরামুলকে কারাগার ব্যরাকসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছিল। বিকেল ৪ টার দিকে কারারক্ষি মামুনই লাশের সন্ধান পায়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একরামুলের মৃত্যু নিয়ে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, নিহত একরামুলের মাথার পিছনে বাম পার্শ্বে ছোট একটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ গভীর ড্রেনের পানিতে উপর হয়ে পড়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে। এঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করবেন।