নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তিনি বলেন,  বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। তারা কিভাবে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করেছে- তা জনগণ দেখেছে। তাই জনগণ বিএনপির ডাকে এখন আর কোনভাবেই সাড়া দিচ্ছেনা। বিএনপি এখন হুংকার দিচ্ছে সব অচল করে দেবে।

আবার অগ্নিসন্ত্রাস করবে, মানুষ হত্যা করবে। এসব হুমকি-ধামকি এদেশের মানুষ পছন্দ করেনা। এদেশের মানুষ জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাজেই যদি বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যার মতো কিছু করতে চায়, জনগনই তাদের প্রতিহত করবে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের এসবের জবাব দেবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকারের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আসাদুজ্জামান খান আজ শনিবার দুপুরে জেলার রায়পুরে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতিবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

পরে তিনি রায়পুর উপজেলা আর্ট স্কুল উদ্বোধন ও শ্রী শ্রী রাধা মদন জিউর মন্দিরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ উপহার বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন । বিকেলে রায়পুর মার্চেন্ট একাডেমি মাঠে আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় তার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতবিনিময় সভায় আরও বলেন, বিএনপি যদি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মধ্যে দিয়ে কিছু করতে চায়, এদেশের মানুষই তার জবাব দিয়ে দেবে। ঘটনা যেখানেই ঘটে সেখানেই মামলা হয়। বিএনপি’র গায়েবী মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনায় ভূক্তভোগীরা মামলাগুলো দায়ের করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন,  বিএনপি এটাকে গায়েবী মামলা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যেগুলো গায়েবী মামলা বলা হচ্ছে, সেসব ঘটনা ঘটেছে বলেই মামলাগুলো হয়েছে। পূজা মন্ডপ নিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এবার দেশে প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ পূজা মন্ডপ রয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য মন্ডপগুলোতে প্রায় ৬ লাখ আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় পুলিশও রয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবীরাও মন্ডপে কাজ করছেন। তবুও সকলের মধ্যে একটি শঙ্কা কাজ করছে। তবে আমরা বলছি কিছুই ঘটবে না।জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ ও রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট।

সূত্র : বাসস