তালা ভেঙে বাসায় ঢুকে মাংস-ভাত খেয়ে জিনিসপত্র চুরি

তালা ভেঙে বাসায় ঢুকে মাংস-ভাত খেয়ে জিনিসপত্র চুরি

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি বাড়ির গেট ও রুমের তালা ভেঙে ফ্রিজে রাখা ভাত মাংস খেয়ে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় একটি চোরচক্র। বিষয়টি জানার পর চুরি হয়ে যাওয়া বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারসহ চুরির মূলহোতাসহ ৩ চোরকে গ্রেফতার করেছে উলিপুর থানা পুলিশ। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। 

ভুক্তভোগী শাজাহান হোসাইন নামের এক ব্যক্তি উলিপুর থানার অজ্ঞত চোরদের নামে শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবে উলিপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামেন। এরপর চোর চক্রের মূলহোতা উলিপুর পৌরশহরের জোনাইডাঙ্গা গ্রামের মো. ফারুক হোসেন (৩২) ,মো. খোকন মিয়া (৪২) ও উলিপুর হাতিয়া ইউনিয়নের ডোবারপাড় এলাকার মো.আব্দুল হাকিমকে (৪৮)গ্রেফতার করে পুলিশ। 

তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ছোট পানির পাম্প ১টি, গ্যাসের চুলা-১টি, লাল রংয়ের ছোট বাই সাইকেল-১টি, এলইডি মনিটর-২টি, গ্যাস সিলিন্ডার-১টি, স্বর্ণের আংটি-১, কম্বল ২টি, স্টাবলাইজার-১টি, পানির ফিল্টার-১টি, ব্লেন্ডার-১টি, মেলামাইন প্লেট-১৩টি উদ্ধার করে উলিপুর থানার একটি চৌকস টিম। 

মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, উলিপুর পৌর শহরের একটি পরিবারের সকল সদস্য মিলে গত ১৮ অক্টোবর রাতে উলিপুরের বজরা এলাকায় বোনজামাই এর জানা যায় অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরের দিন নিজ বাসায় এসে দেখেন তাদের বাসার গেটের তালা ও রুমের তালা ভাঙ্গা এবং ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো ও তাদের বিভিন্ন মালামাল ঘরে নেই। এছাড়াও তাদের বাড়ির রান্না করা ভাত ও মাংস সব খেয়েছে চোররা।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারটি শনিবার সকালে মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে চোরদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও পরিবারটির বিভিন্ন ধরনের রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখা ছিল। এসব খাবার সব খেয়ে চোররা বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরে করে চলে যায়। 

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য তারা বিভিন্ন সময়ে বাসার মালিকদের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাসার তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতো। 

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে তার সকল তথ্য সংগ্রহ করে চোরাই মালামাল উদ্ধারসহ চোরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে ও অপরাধ দমনে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।