গাজায় ঢুকেছে ত্রাণের দ্বিতীয় চালান

গাজায় ঢুকেছে ত্রাণের দ্বিতীয় চালান

গাজায় ঢুকেছে ত্রাণের দ্বিতীয় চালান

একাধিক আন্তর্জাতিক ও মিসরিয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ত্রাণবাহী ট্রাকের দ্বিতীয় চালান মিসর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।অবরুদ্ধ গাজায় চিকিৎসা সহায়তা, খাবার ও পানি নিয়ে যাওয়ার এক দিন পর রোববার মোট ১৭টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে।জাতিসঙ্ঘের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গাজার চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন।

এর আগে, শনিবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও সীমিত পরিমাণে ক্যানজাত খাবার রয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আলজাজিরার এক প্রতিনিধি তার নিউজ স্টেশনকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সামগ্রীবাহী প্রথম ট্রাকটিকে গাজায় প্রবেশ করতে দেখেছি।’ইসরাইল সফর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন গাজায় প্রাথমিকভাবে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক যেতে পারবে জানালেও এ সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গাজাবাসীর জন্য এখন অন্তত দুই হাজার ট্রাক ত্রাণ সহায়তা দরকার। সেখানে মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণকে ‘সমুদ্রে এক ফোটা পানির’ সাথে তুলনা করেন তারা।জাতিসঙ্ঘ গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছে।জাতিসঙ্ঘ আরো জানায়, গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে প্রতিদিনই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে শিশুই রয়েছে ১৬০০’র বেশি।
সূত্র : আল-জাজিরা