গাজায় ইনকিউবেটরে মৃত্যুর মুখোমুখি শতাধিক নবজাতক

গাজায় ইনকিউবেটরে মৃত্যুর মুখোমুখি শতাধিক নবজাতক

সংগৃহীত

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ইনকিউবেটরে থাকা শতাধিক নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

সংস্থাটির মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছেন, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭শ’র বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

এদিকে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৫১ জন। ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ৫ হাজার ১৩২ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার আল- আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া বহু মানুষ হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গাজার আল-কুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ ধরনের অমানবিক নির্দেশকে রোগীদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) আল-কুদস হাসপাতালসহ পাঁচটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট দাবি করছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এই নির্দেশের পর বোমা হামলার হুমকির মধ্যে রয়েছে আল-কুদসসহ ২৪টি হাসপাতাল।