থেলাসিমিয়ায় আক্রান্ত ইয়াসমিন বিত্তবানদের সাহায্য চায়

থেলাসিমিয়ায় আক্রান্ত ইয়াসমিন বিত্তবানদের সাহায্য চায়

ছবিঃ সংগৃহীত।

মা রুকিয়া বেগম ওরফে হাসিমুন পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান। থাকেন ৯ শ টাকা মাসিক ভাড়া করা ভাঙ্গা ঘরে। বাবা ইবরাহিম দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে নিরুদ্দেশ। মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (২২) জন্মের পর থেকেই থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত। বড় মেয়েকে সামান্য লেখাপড়াকরানোর পর বিয়ে দেয়া হয়েছে। হাসিমুনের নিজের কোন জায়গা জমি নেই। এর মধ্যে জন্মের পর থেকে মেয়েকে প্রতি মাসে দেহে রক্ত যোগান দিতে হচ্ছে।

 

এমনটাই বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড খন্দকার কলাগাছিয়া এলাকার দরিদ্র পিঠা বিক্রেতা হাসিমুন।

 

বাড়ীর পাশের রাস্তায় পিঠা বিক্রি করে হাসিমুনের যে আয় হয় তাতে মেয়েকে নিয়ে সংসার খরচ এবং ঘরভাড়া বহন করে মেয়ের দেহে রক্ত যোগান দেয়ার মত টাকা তার থাকেনা। মাস শেষে একবার রক্ত যোগান দিতে তার ব্যায় হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। তার উপর গ্রুপ অনুযায়ি রক্তদাতা পাওয়া না পাওয়ার একটি ব্যাপার তো আছেই।

ইয়াসমিনের মা পিঠা বিক্রেতা হাসিমুন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, আমার সংসারে কর্মক্ষম কোন পুরুষ সদস্য নাই। নিজে পিঠা বিক্রি করে যতটুকু পাই তা দিয়ে সংসার খরচের পর হাতে কিছু থাকেনা। গত ২২ টি বছর ধরে আমি আমার মেয়েকে প্রতি মাসে রক্ত যোগান দিয়ে আসছি। এতে যে পরিমাণ টাকার দরকার তা আমি যোগার করতে পারছিনা। আমার এ সংবাদটি পড়ার পর বিত্তবানেরা যদি আমাকে একটু সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন তা হলে আমি আল্লাহর নিকট তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করব। এ ক্ষেত্রে তিনি তার সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরটি দিয়েছেন। নম্বরটি হলো ০১৩১৯৯৯৩২০৫।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোশারফ হোসেন জানান, থেলাসিমিয়া একটি রক্ত সংক্রান্ত রোগ। এ রোগের রুগীদের দেহের রক্ত শুকিয়ে যায়। কারো ক্ষেত্রে এক মাস বা কারো ক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর দেহে রক্ত যোগান দিতে হয়।