নৌযান চলাচল স্বাভাবিক, যাত্রী কম

নৌযান চলাচল স্বাভাবিক, যাত্রী কম

সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে রাজধানীর একমাত্র লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

আজ রবিবার সকালে সদরঘাটে দেখা গেছে, টার্মিনালে পন্টুনে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা আছে লঞ্চ। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে নিদির্ষ্ট সময়ে লঞ্চ ছেড়ে যেতে যাচ্ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুর, নড়িয়া, মৃধারহাট, ইলিশার উদ্দেশে ছয়টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। তবে লঞ্চগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।  

যাত্রী কম থাকায় কিছু লঞ্চ যাবে না। কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী কম, আপ-ডাউনে লঞ্চের খরচ উঠবে না। তাই সকালে না গিয়ে বিকালে যাবে।  

ঢাকা-কালিগঞ্জ-ইলিশা রুটে ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়েছে দোয়েল পাখি-১০। লঞ্চটির ইনচার্জ মো. জিয়া বলেন, নৌপথে কোনো হরতাল থাকে না। কিন্তু হরতাল দেখে যাত্রী কমে যায়। আর যাত্রী কমে গেলে লঞ্চ মালিকদের লোকসান হয়। 

অপরদিকে, সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছেন।

সকালে সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে সকালের দিকে যাত্রী কিছুটা কম।

সদরঘাটের কাছে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে থেকে মিরপুর, গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন রুটে বাসগুলো ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। সেসব রুটের বাস নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যাচ্ছে।

এ ছাড়া হরতালে ট্রেনের শিডিউলে কোনো বিপর্যয় ঘটেনি। নির্ধারিত সময়ের ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই ছেড়েছে প্রতিটা ট্রেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই যথাসময়ে প্লাটফর্ম ছেড়ে গন্তব্যে রওনা দিয়েছে প্রতিটি ট্রেন। শিডিউল বিপর্যয় হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন চলাচলও ছিল স্বাভাবিক।

জামালপুরগামী তিস্তা ট্রেনের স্টাফ অনিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকে কোনো ট্রেন দেরিতে ছাড়েনি। হরতাল থাকলেও তার প্রভাব এতে পড়েনি।

সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে পুলিশের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সন্দেহভাজন কাউকে পেলে জিজ্ঞাসবাদ করছেন তারা। তাছাড়া সক্রিয় রেলওয়ে পুলিশও।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ