সীতাকুণ্ডে গাড়ির ওয়ার্কশপে নৈশ প্রহরীর মৃত্যু

সীতাকুণ্ডে গাড়ির ওয়ার্কশপে নৈশ প্রহরীর মৃত্যু

ছবিঃ সংগৃহীত।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গাড়ির ওয়ার্কশপে কর্মরত অবস্থায় মোঃ আবুল কালাম (৫০) নামে এক নৈশ প্রহরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত তিনটার দিকে ওয়ার্কশপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

 

নিহত নৈশ প্রহরী বড়কুমিরা ঘাটঘর তিতা গাজির বাড়ির মৃত গোড়া মিয়ার পুত্র।

জানা যায়, প্রতিদিনের মত নিজ কর্মস্থল এম.এম টধান্সপোর্ট এজেন্সি ও ডিপোতে কাজে যান আবুল কালাম। তিনি ছাড়াও ওয়ার্কশপে আরো তিনজন নৈশ প্রহরীর কাজ করে। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একজন নৈশ প্রহরী কালামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বলেন উনি কর্তব্যরত অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। এরপর বাড়ির লোকজন এসে কালামকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। তবে কিভাবে কি

কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কারণ জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত আবুল কালামের সন্বন্ধী সাইদুল হক বলেন, 'আমার বোন জামাই প্রতিদিনের মত সুস্থ শরীরে চাকুরিতে যায়। রাতে একজন নৈশ প্রহরী এসে বলে উনি অসুস্থ হয়ে পড়ে গেছে। এরপর আমার বোন ও আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার কাছে রহস্যজনক লাগছে, এতবড় ওয়ার্কশপ ও ডিপো, কেনো ওনারা অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে উনাকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে

পরিবারের জন্য অপেক্ষা করলো।

অপরদিকে নৈশ প্রহরীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে এম। এম। ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ম্যানেজার শফিউল আলম বলেন, 'ওয়ার্কসপে মোট তিনজন নৈশ প্রহরী কাজ করে। উনি মাথা ঘুরে পড়ে গেলে উনার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবার এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আসলে আমার মোবাইল রাতে সাইলেন্ট থাকার কারণে

আমি সকালে বিষয়টি জানছি। হয়তো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে উনার মৃত্যু হতে পারে।'

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ ঘটনার সত্যত্তা স্বীকার করে বলেন, 'আমরা বিষয়টি শুনেছি, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানবো।''