টেকনাফ পৌঁছাল মিয়ানমারের ৩৪ প্রতিনিধি

টেকনাফ পৌঁছাল মিয়ানমারের ৩৪ প্রতিনিধি

সংগৃহীত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে দুটি নৌযানে করে টেকনাফের ট্রানজিট জেটিঘাটে পৌঁছায় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এর মধ্যে আগের ২টি ট্রানজিট ক্যাম্প ছাড়াও চলছে আরও ৩টি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণের কাজ।

তার মধ্যে আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে বাংলাদেশ এসেছে মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রত্যাবাসনের পক্ষে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং যাচাই-বাছাই করতে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ এসেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, জল ও স্থল দুই পথেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে। যা ২০১৮ সালে দু’দেশের চুক্তিতে উল্লেখ্য রয়েছে। আমরা জল ও স্থল দুই পথেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ২০১৮ সালে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ করেছি। ধারণা করেছিলাম, ২০১৮ সাল থেকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটা শুরু হবে। আমরা আরও ৩টি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ হাতে নিয়েছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার মতো। কাজ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত শেষও হবে, যা আমরা তদারকি করছি।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সূত্র বলছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম ও টেকনাফে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আরও নতুন ৩টি ট্রানজিট সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ সেন্টারগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে ২টি ট্রানজিট সেন্টার নির্মাণ করা হয়।