বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে প্রতিপক্ষ বায়ুদূষণও

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে প্রতিপক্ষ বায়ুদূষণও

ফাইল ছবি

বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হওয়া বাংলাদেশ পরিস্থিতি  নিজেদের অনুকুলে প্রত্যাশা করছে।  ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।

তবে বায়ুদূষণের কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় হুমকির মুখে পড়েছে ম্যাচটি। গতদিন দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৪৬৫। এ অবস্থায় মাস্ক পড়ে অনুশীলন করেছে জয়ের পথে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ। ৪শর উপর একিউআইকে অনেক বেশি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। জানা গেছে, ম্যাচের দিন একিউআই পরিমাপ করার পর ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন কর্মকর্তারা।

এ পর্যন্ত মাত্র একটি জয় পাওয়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে।  প্রায় এক মাস আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ এবং ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালের খেলার লক্ষ্যে শুরুটা দারুণভাবেই করেছিলো টাইগাররা।

কিন্তু নিজেদের সেরা পারফরমন্সে প্রদর্শন করতে পারেনি বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের কাছে হতাশাজনক হারসহ টানা ছ’টি ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। টানা হারে বিধ্বস্ত ও বিষন্ন করে ফেলেছে খেলোয়াড়দের এবং এই মুহুর্তে কোন ম্যাচ জয়ের মত দল বলে মনে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।

তারপরও আশাবাদী বাংলাদেশ। কারণ ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে দল। আইসিসির নিয়ম অনুসারে, আয়োজক পাকিস্তান এবং বিশ্বকাপের শীর্ষ সাত দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

অন্যদিকে, বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচ জিতলেও শ্রীলংকার পারফরমেন্স মোটেই আহামরি কিছু হচ্ছে না।  যদিও এখন পর্যন্ত গাণিতিকভাবে সেমিফাইনালের দৌঁড় থেকে বাদ পড়েনি লংকানরা। কিন্তু সেমিতে জায়গা পেতে অনেক যদি-কিন্তর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।
সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে ৩০২ রানের লজ্জাজনক হার বরণ করে নেয় শ্রীলংকা। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় এবং ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয় বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড এখন লংকানদের। টেস্ট দল হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা থেকে বাংলাদেশের নামও মুছে ফেলে শ্রীলংকা।

দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ইনজুুরি চাপে ফেলেছে শ্রীলংকাকে। ইনজুরিতে জর্জরিত শ্রীলংকার দুরাবস্থা, হারের বৃত্ত থেকে বের হতে অনুপ্রাণিত করবে বাংলাদেশকে।

তবে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যাটার-বোলারদের কাছ থেকে  যথার্থ পারফরমেন্স, যেটা  এবারের  বিশ্বকাপে এখনো দেখা যায়নি। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন ব্যাটারদের বাজে পারফরমেন্সের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।  কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং, বিশেষভাবে পেস বোলিং আক্রমণ পুরোপুরিভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

বিশ্বকাপের আগে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো পেস বোলারদের পারফরমেন্স। কিন্তু স্পোর্টিং উইকেটে বোলারদের ভুলগুলো ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি নিজের সেরা রুপে ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তাকে ক্লান্ত ও উদাসীন মনে হয়েছে এবং ব্যাটিং বা বোলিং দিয়েও দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারেননি তিনি।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাস ছাড়া দলের কেউই নিজেদের মেলে ধরতে  না পারায় বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে কখনওই শ্রীলংকার বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরেছে টাইগাররা। গত বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিলো। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। এরমধ্যে শ্রীলংকা ৪২টি এবং বাংলাদেশ ৯টি ম্যাচে জিতেছে।