ঘোড়াঘাটে গৃহবধু ফেরদৌসি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

ঘোড়াঘাটে গৃহবধু ফেরদৌসি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

ছবিঃ সংগৃহীত।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফেরদৌসি বেগম (২৭) হত্যাকান্ডের ৬ ঘন্টা পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধুর স্বামী সাগর মিয়া হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিং অুনষ্ঠিত হয়েছে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, পুলিশ সুপার মো. শাহ্ ইফতেখার আহাম্মেদ পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় ও তত্বাবাধানে ফেরদৌসি হত্যা কান্ডের পর ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ অভিযান শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও বিভিন্ন তথ্য ও উপাক্ত বিশ্লেষণ করেন ক্লুলেস হত্যা মামলার ৬ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী ফেরদৌসি স্বামীকে সনাক্ত করা হয়।

ঘটনার দিন বুধবার বেলা ১২টার দিকে সাগর মিয়া সু কৌশলে তার স্ত্রী ফেরদৌসি বেগমকে বাড়ীর পার্শ্বে কৃষ্ণপুর মরিচার নুর আলমের ধান ক্ষেতে গরুর ঘাস কাটতে পাঠিয়ে দেয়। পরে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রীকে লাইলনের রশি দিয়ে দু-হাত বেঁধে ও রশির এক প্রান্ত দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

 

একই দিন রাতে ফেরদৌসি বেগমের নানা সমসের আলী ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম, ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান, ওসি তদন্ত এনামুল হক, তদন্তকারী অফিসার এস আই আজিজার রহমান সহ ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

 

প্রেস ব্রিফিং শেষে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বেচ্ছায় আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।

 

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আসামী সাগর তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এ বিষয় নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বিচার শালিস হয়।