গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে

গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে

ছবিঃ সংগৃহীত।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোসতাক আহমেদ বলেছেন, শান্তিপ্রিয় শ্রমিকরা রাস্তাঘাট অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা বিশ্বাস করি এর সঙ্গে কুচক্রীমহল জড়িত। এটাতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

 

গাজীপুরে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় সড়ক অবরোধ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে তার পরও কিছু কুচক্রীমহল শ্রমিকদের সাথে মিশে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে। কিছু অসাধু বা কুচক্রীমহল কারখানা ভাংচুর ও পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

 

র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, শ্রমিক অসন্তোষে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, শ্রীপুর থানা ছাত্রহলের সদস্য আমিনুল ইসলাম সরকার ও মহানগর যুবদলের সদস্য শাহাদাত হোসেন দিশারী রয়েছে।

 

তিনি জানান, সহিংসতার ইন্ধন-দাতা ও সরাসরি জড়িত অন্যান্যদের খোঁজা হচ্ছে।

অপরদিকে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মরদ আলী বলেন, শ্রমিকদের সহজ টার্গেট পেয়ে তাদের মাঝে কোনো একটি গুজব ছড়িয়ে দিয়ে তাদের উত্তেজিত করে দেয়া হচ্ছে।

গুজব যারা ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লোকজন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, শ্রমিক আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের খোঁজা হচ্ছে। সহিংসতায় শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীরা জড়িত আছে কি না সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যাচাই করা হচ্ছে। তবে সরাসরি তারা ভাঙচুরের সঙ্গে না থাকলেও তাদের ইন্ধন রয়েছে।