প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

ফাইল ছবি

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে এই ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেন নওয়াপাড়া, যশোর, বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর, আলমডাঙ্গা, মোবারকগঞ্জ ও কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে খুলনায় আসবে।

জানা গেছে, আজ বিকালে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর ও জনসমাবেশ উপলক্ষ্যে নতুন রূপে সেজেছে খুলনা। নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দূরদূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা সড়ক, নৌ ও রেলপথে ছুটে আসছে খুলনায়। আর খুলনায় আগতদের চলাচলের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থান থেকে রেলপথে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মো. মাসুদ রানা জানান, প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর উপলক্ষ্যে ১০ জোড়া নতুন ট্রেন বিভিন্ন জেলা থেকে খুলনায় এসে পৌঁছাবে। শুধু আজ ১৩ নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেনগুলো চলাচল করবে।

১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের সূচি-

সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করবে স্পেশাল ট্রেন। এতে আসন সংখ্যা ৭৩৫টি। খুলনায় পৌঁছাবে ১২টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি খুলনা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে।

আলমডাঙ্গা থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা আলমডাঙ্গা স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১১টা ৫৫ মিনিটে। এতে আসন ৭৩২টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৮টা ২০ মিনিটে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গা স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১১টা ৪০ মিনিটে। এতে আসন ৭৬২টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টায়, পৌঁছাবে রাত ৯টার দিকে।

কোটচাঁদপুর থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা কোটচাঁদপুর স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১১টায়। এতে আসন ৬৩০টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৯টার দিকে।

মোবারকগঞ্জ থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা মোবারকগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ১০টা ৪০ মিনিটে। এতে আসন ৭৩৫টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৮টার দিকে।

বেনাপোল থেকে সকাল ৭টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা বেনাপোল স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ৮টা ৫০ মিনিটে। এতে আসন ৭৮০টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে।

এছাড়া যশোর ও নওয়াপাড়া স্পেশাল ২টি করে ট্রিপ দিবে। এরমধ্যে যশোর থেকে সকাল ৮টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা যশোর স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে সকাল ৯টায়। এতে আসন ৭৬৪টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে, পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। ২০ মিনিট অপেক্ষার পর আবারও যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটে যশোর স্টেশন ত্যাগ করে খুলনা পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে। যশোরের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে, পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে। যশোর থেকে ফের যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে।

আর নওয়াপাড়া থেকে সকাল ৯টায় খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা নওয়াপাড়া স্পেশাল ট্রেন খুলনা পৌঁছাবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। এতে আসন ৪৯২টি। ট্রেনটি খুলনা ছেড়ে যাবে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে, নওয়াপাড়ায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। নওয়াপাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে। নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে, পৌঁছাবে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে। নওয়াপাড়া থেকে ফের যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি খুলনা থেকে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে, পৌঁছাবে রাত ৭টা ৫ মিনিটে। সবশেষ নওয়াপাড়া থেকে ট্রেনটি রাত ৭টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় আসবে রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।