কিউইদের গুঁড়িয়ে ম্যাচসেরা শামি

কিউইদের গুঁড়িয়ে ম্যাচসেরা শামি

মোহাম্মদ শামি

চলমান বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে এক মোহাম্মদ শামির কাছেই হারলো নিউজিল্যান্ড। দফায় দফায় এসে ঝড় তুলে উইকেট তুলে নেন তিনি। তাতে থেমে যায় নিউজিল্যান্ডের রানের গতি। এক এক করে শামি তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড সাত-সাতটি উইকেট। তাতে রানের চাপে বেসামাল হয়ে কিউইরা শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায় ৪৮.৫ ওভারে ৩২০ রানে। ৭০ রানের জয়ে ২০১১ সালের একবার ফাইনালে নাম লেখায় ভারত।

বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন শামি।

ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবার বল হাতে আক্রমণে আসেন শামি। তার করা প্রথম বলটা চতুর্থ/পঞ্চম স্টাম্পে ছিল, গুড লেন্থের এই বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৩ রান। কনওয়ে ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। এই ওপেনারও শামির শিকার হয়েছেন। অস্টম ওভারের পঞ্চম বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

৩৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কিউই সমর্থকরা হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিল। তবে হাল ছাড়েননি উইলিয়ামসন-মিচেল। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়েন। তাতে ম্যাচেও ফেরে তারা। কিন্তু ৭৩ রান করে উইলিয়ামসন ফেরার পর ফের পথ হারায় দল। এক বল বিরতি দিয়ে শামি আবার ফেরান টম ল্যাথামকে। 

এরপর নিউজিল্যান্ড আর ম্যাচে ফেরতে পারেনি। সেখানেও মিশে ছিলেন শামি। সর্বোচ্চ ১৩৪ রান ড্যারেল মিচেলের পর টিম সাউদি এবং লোকি ফার্গুসনও ফিরেছেন এই পেসারের বলেই। ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে থামেন মোহাম্মদ শামি। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও অবধারিতভাবেই পেয়েছেন তিনি।