শেরপুরের নকলায় স্ত্রী'র মামলায় প্রভাষক কারাগারে

শেরপুরের নকলায় স্ত্রী'র মামলায় প্রভাষক কারাগারে

ছবিঃ সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তারিকুল হাসান (৪০) নামে এক কলেজ শিক্ষককে (প্রভাষক) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে পৌরশহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারিকুলের বাড়ি পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাচঁকাহনীয়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম শহীদুল্লাহ।

 

তারিকুল ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক।

 

আদালতে দায়ের করা মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রায় ১৮ বছর আগে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়নখোলা বাজারের সামছুল হকের মেয়ে শিহাদ ফারজানা হকের (৩৭) বিয়ে হয় তারিকুলের সাথে। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

বিয়ের পর মেয়ের সুখের কথা ভেবে সামছু্ল হক জামাতা তারিকুলকে নগদ ৩ লাখ টাকা যৌতুক ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেন। কিন্তু এতে মন ভরেনি তারিকুলের। পুণরায় সে নতুন করে আরও ৮ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী ফারজানাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।

 

মাস ছয়েক আগে যৌতুকের টাকার জন্য তারিকুল ফারজানাকে মারধর করে সন্তানসহ বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তি হলে ফারজানা সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সংসারে চলে আসেন।

৭ নভেম্বর তারিকুল যৌতুকের টাকার জন্য ফারজানাকে আবার মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নেন।

 

বিষয়টি নিয়ে ফারজানা ৯ নভেম্বর শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী তারিকুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন আহমেদ জানান এব্যাপারে নকলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামী তারিকুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।