ইউক্রেনে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া

ইউক্রেনে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া

সংগৃহীত

ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন দিয়ে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ড্রোন হামলা রুখতে দেশের বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করা হচ্ছে।

রোববার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। টানা দুই দিন ইউক্রেনীয় অবকাঠামো এবং এনার্জি সেক্টরকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এসব হামলা। খবর রয়টার্সের

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জেনারেল সেরহি পপকো রোববার টেলিগ্রামে লিখেছেন, শহরে বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ ধেয়ে আসছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, ইরান-উৎপাদিত ২০টা কামিকাজে ড্রোনের মধ্যে ১৫টা ড্রোন কিয়েভ অঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্বে পোলতাভা এবং চেরকাসি শহরের কাছে গুলি করে নামানো হয়েছে।

পপকোর মতে, কোনো হতাহতের ঘটনা বা গুরুতর ধ্বংসের ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার সকালে একই ধরনের হামলার ২৪ ঘণ্টা পরে ফের হামলা চলে ইউক্রেনে। ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রুশ ভূখণ্ড থেকে আসা ৩৮টি ড্রোনের মধ্যে ২৯টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে। কিয়েভ লক্ষ্য করে ধেয়ে আসা সমস্ত ড্রোনকে আটকেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু ওডেসায় একটি সফল হামলায় একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। ৪০০টিরও বেশি জায়গায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর এসেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট  জেলেনস্কি বলেন, রুশ হামলা প্রত্যাশিত জেনেই ইউক্রেন বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করছে। তিনি বলেন, 'শীত যত বাড়বে, হামলার প্রচেষ্টা ততই বাড়বে। তাই ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সবরকম প্রতিকূলতা, ক্লান্তি সত্ত্বেও ১০০ শতাংশ সজাগ হতে হবে।'

গত শীতে ইউক্রেনজুড়ে এনার্জি সেক্টর এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে শত শত রকেট এবং ড্রোন হামলা করেছে রাশিয়া। হিটিং সিস্টেম এবং বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতিতে প্রবল শীত সহ্য করতে বাধ্য হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে ইউক্রেনে। তাই হামলার কথা আঁচ করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন।

চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে রাশিয়াতে ছোট আকারের ড্রোন হামলা শুরু করেছিলো ইউক্রেনও। রোববার সকালেও তারা পাল্টা হামলা করে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ড্রোনব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা করতে চেয়ে কিয়েভের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।'

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ড্রোনটিকে মস্কো অঞ্চলের বোগোরোডস্কি এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন পরে টেলিগ্রামে লেখেন, ওই আক্রমণে কোনো ক্ষতি হয়নি। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।