ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ‘স্টপ ক্লক’

ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ‘স্টপ ক্লক’

সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কা থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়াসহ আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আসে আজ অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ড সভা থেকে। খেলার গতি ধরে রাখতে এবার ‘স্টপ ক্লক’ ব্যবহার করতে চলেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুধুমাত্র ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলবে এই পদ্ধতি।

স্টপ ক্লকের উদ্দেশ্য হলো দুই ওভারের মাঝের সময় পর্যবেক্ষণ। আগের ওভার শেষ হওয়ার পর নতুন ওভার শুরু করতে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে ফিল্ডিং দল। এমনটা না ঘটলে শাস্তি অপেক্ষা করবে তাদের ওপর। তবে সেটা কার্যকর হবে তৃতীয়বারের পর। অর্থাৎ ফিল্ডিং দল যদি তিনবার ৬০ সেকেন্ডের ভেতর ওভার শুরু না করে তাহলে পাঁচ রান জরিমানা করা হবে তাদের। সেই পাঁচ রান যোগ করা হবে ব্যাটিং দলের খাতায়। তাই ওভারে স্টপ ক্লকের মাধ্যমে দুই ওভারের মাঝের সময় গণনা করা হবে।

 ক্রীড়া স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ৯ মাস পরামর্শের পর লিঙ্গ যোগ্যতার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করেছে আইসিসি। এই নিয়ম অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা, ন্যায্যতা ও অধীনতা রক্ষা করতে বয়ঃসন্ধিকালের পর কোনো পুরুষ যদি নারীতে রূপান্তরিত হন তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। যেকোনো অস্ত্রোপচার কিংবা লিঙ্গ রূপান্তরের চিকিৎসা নিয়ে থাকুক না কেন, খেলার জন্য তাকে অযোগ্য বিবেচনা করা হবে। এই নিয়ম শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্যই প্রযোজ্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এই নিয়ম দুই বছরের পর্যালোচনা করা হবে।  

এছাড়া বোর্ড সভায় পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।  পিচের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো ভেন্যু যদি ছয়টি ডেমেরিট পয়েন্ট পায় পাঁচ বছরের মধ্যে, তাহলে তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী সেটি ছিল পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পিচ যে মানদণ্ডে পর্যবেক্ষণ করা হয় সেগুলোও সরল করা হয়েছে।