শিবচরে গণপিটুনিতে ২ জনের প্রাণহানি, আসামি ৩ শতাধিক

শিবচরে গণপিটুনিতে ২ জনের প্রাণহানি, আসামি ৩ শতাধিক

প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় শিবচর থানায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন শতাধিক। মামলার পরে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. গোলজার আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনশতাধিক ব্যক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী দেলোয়ার হাওলাদার বাদী হয়ে ডাকাতির অপর মামলা দায়ের করেন। শিবচর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো.গোলজার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গণপিটুনিতে নিহত মিরজন খালাসী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সুম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আহত আসমত আলী খান ওরফে হাসমত মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার রত্তন খানের ছেলে।

শিবচর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সুম্ভুক এলাকার আবদুল হালিম ফকিরের বাড়িতে ৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে হানা দেয়। এসময় বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভ্যানচালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ডাকাতরা ওই বাড়িতে থাকা তুষার হাওলাদারকে জিম্মি করে দেলোয়ার হাওলাদারের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ারকে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তুষার দৌড়ে গিয়ে 'ডাকাত ডাকাত' বলে চিৎকার করে। এসময় ডাকাত দল বাজিতপুর ও চর ছলেনামা এলাকায় ঝোপঝাড়ের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মিরজন খালাসী ও হাসমত বেপারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মিরজন মারা যায়। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাসমতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ডাকাতির মামলা দায়ের করে।

এদিকে, একই ডাকাতির অভিযোগে ওই দিন ভোরে বাজিতপুর এলাকা থেকে সাগর হাওলাদার (২৮) ও মোস্তফা কামাল (৬৫) নামে দুইজনকে আটক করে এলকাবাসী। পরে তাদের পুলিশে দিলে বুধবার (২২ নভেম্বর)  দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.গোলজার আলম বলেন, ডাকাতি এবং গনপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। তার একটি হত্যা মামলা। যেখানে অজ্ঞাত তিনশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।