বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, দুর্যোগের শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, দুর্যোগের শঙ্কা

সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এ ঘূর্ণিঝড়টিকে নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ওপরে রোববার ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীতে এ দিন একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এটা ২৯ নভেম্বরের পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

দেশটির আবহাওয়া দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ২৯ নভেম্বর নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় তা আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

ভারতের আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়টি কোন উপকূলের দিকে যাচ্ছে কিংবা কোথায় আঘাত হানতে যাচ্ছে তার বিষয়ে এখনও কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়নি। তবে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং কোনো কোনো জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর ২৮ ও ২৯ নভেম্বর কোনো কোনো জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। 

মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, তারা যেন ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগর, ২৯ থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং ৩০ থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে না যায়।

এর আগে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হামুন এবং নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানে বাংলাদেশে। তবে এই দুই ঘূর্ণিঝড়ই বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। এতে ক্ষয়-ক্ষতিও তেমন হয়নি। 

এই দুই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই ভারতের উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা, মিজোরামের মতো রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সাধারণের জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছিল।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া