৬ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

৬ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

সংগৃহীত

চা বিরতির আগে ৫ বলের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার গুরুদায়িত্ব ছিল অভিজ্ঞ মিডল-অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের উপর। কিন্তু সেটা না করে উল্টো বিপদ বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

চা বিরতি থেকে ফিরেই উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন মুশি। প্যাটেলের ফুলার লেংথের ডেলিভারি লং-অফে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় উল্টো বিপদ বাড়ে লাল-সবুজ শিবিরের। উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় মুশফিককে। এতে মাত্র ১২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৭ দশমিক ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান। ক্রিজে আছেন নুরুল হাসান সোহান ও অভিষিক্ত শাহাদাত হেসেন।

এর আগে সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। ওপেনিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হন জাকির হাসান। ওপেনিং জুটিতে তারা দারুণ শুরু এনে দেন। তবে এজাজ প্যাটেলের করা দারুণ এক বলে দলীয় ৩৯ রানে প্রথম উইকেটের পতনও হয়। তার ওভারের তৃতীয় বলে পরাস্ত হন জাকির। এতে মাত্র ১২ রানেই শেষ হয় এই ওপেনারের ইনিংস।

এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাবে খেলতে থাকেন অভিষিক্ত অধিনায়ক। সোধি, প্যাটেলদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটাই খেলেন তিনি। জয়ও তাকে দারুণ সঙ্গ দেন।

এই জুটিতেই রানের চাকা সচল থাকে। তবে লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে প্রথম ইনিংসে নিজের শেষটা রচনা করে ফেলেন শান্ত। গ্লেন ফিলিপসের ফুল টস ডেলিভারিতে অতি আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মিড-অনে ক্যাচ তালুবন্দি করেন কেন উইলিয়ামসন। ফলে ৩৫ বলে ৩৭ রান করেই শেষ হয় শান্তর ইনিংস।

তবে লাঞ্চ বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি লাল-সবুজ শিবির। ২৭ ওভারে ১০৪ রান তুলে টাইগাররা। প্রথম সেশনে ৭৭ বলে ৪২ রানে জয় এবং অভিজ্ঞ মমিনুল ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শান্তকে হারানোর আক্ষেপ নিয়েই মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় টিম টাইগার্স। এরপর দ্বিতীয় সেশনেও বেশ সাবধানী মেজাজে রানের চাকা সচল রাখেন ডানহাতি এই ওপেনার। একেবারে টেস্ট মেজাজে খেলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়। ৯টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ পঞ্চাশ ছুঁতে তাকে ৯৩ বল খেলতে হয়েছে।

এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৮০ রানের মাথায় গ্লেন ফিলিপসের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মমিনুল। আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস।

অন্যদিকে ফিফটির পর ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় শতকের দিকে এগোচ্ছিলেন জয়। তবে তিনিও ফেরেন পরের ওভারেই। ইশ সোধির বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের মুঠোবন্দী হয়েছেন তিনি