সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবি রাশিদার

সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবি রাশিদার

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব

সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবি করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালিব। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।

বুধবার টুইট করে তিনি বলেন, প্রত্যেক নিরাপরাধ নাগরিককে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং তাদেরকে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের সুযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাস বা জাতিগতভাবে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

এ সময় তিনি জানান, প্রতি বছর গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়। ১৩,০০ জনের বেশি বন্দী ফিলিস্তিনিকে কোনো অভিযোগ, বিচার বা আইনগত কোনো সুবিধা না দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। 

মার্কিন কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালিব বলেন, আমি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তিকে সমর্থন করি। একইসাথে আমি চাই যে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটক থাকা বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া হোক। এ বিষয়ে আমি বাকি কংগ্রেস সদস্যদের সহায়তা চাই।

তিনি বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের সমপর্যায়ের মানুষ হিসেবে দেখে না। এটা তাদের ব্যর্থতা। অথচ, ফিলিস্তিনিদেরও একই ধরনের অধিকার, স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা দেওয়া উচিৎ। 

এদিকে গাজায় টানা চার দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে - হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও একটি দলকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে একদল ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।

চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সোমবার কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা মঙ্গলবার এবং বুধবার দুই দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।

কাতার বলেছে, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে হামাস আরও ২০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, "বাস্তবে না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। আজ রাতেও পরিস্থিতি এগিয়েছে, তবে এজন্য ধৈর্যের প্রয়োজন।"

তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য যে পরিবারগুলো প্রিয়জনের অপেক্ষায় প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছেন, অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তাদের কথা ভেবে অপহৃতদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা। এটা চলতি কাঠামোর ধারাবাহিকতার মাধ্যমে বা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে হতে পারে।"

এক কথায়, যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে আবার যুদ্ধ পুনরায় চালু হতে পারে এই দু’টি সম্ভাবনার কথাই বলেছেন তিনি।

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, মিডল ইস্ট আই