মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের রাজধানী দখলের পথে বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের কায়াহ রাজ্যের রাজধানী দখলের পথে বিদ্রোহীরা

ছবিঃ সংগৃহীত।

জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাওয়ের দখল করে নেওয়ার পথে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা।তারা লোইকাও দখল করতে পারলে এটিই হবে প্রথম কোনো রাজ্যের রাজধানী, যা বিদ্রোহীদের দখলে যাবে। তবে জান্তা বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, লোইকাও শহর এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

সিঙ্গাপুরভিক্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইম জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও দেশটির বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র অংশের সমন্বয়ে গঠিত এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএওএস) সৈন্যরা লোইকাওয়ের দখল নিতে অগ্রসর হচ্ছেন।

তাদের নেতা লিন লিন বলেছেন, আমাদের সৈন্যরা প্রায় সবাই লোইকাও শহরের। এই বিষয়টিই মূলত শহরটির দখল নিতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে। আমরা আমাদের আবাসস্থল ফেরত পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পিডিএফ ও ইএওএসের সৈন্যরা লোইকাওয়ের দখল নিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পর্বতবেষ্টিত এই শহরে প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। তবে পিডিএফ যোদ্ধারা জানিয়েছে, জান্তা বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা ও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে বেশির ভাগ বাসিন্দাই শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো লোইকাও দখলে এগিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, লোইকাওয়ে সরকারি সৈন্যরা ব্যাপক শক্তি দেখিয়েছে। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধের পরও লোইকাওয়ের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অন্যদিকে, লোইকাওয়ে তীব্র যুদ্ধের কারণে শহরটি থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মূলত ব্যাপক বিমান হামলা ও শহরের ভেতরে তুমুল লড়াইয়ের কারণে তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।