স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সই থাকার বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী রায়হান কাওসার বাদী হয়ে এ রিট করেছেন।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) তার পক্ষে আইনজীবী ইউসুফ আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দাখিল করেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও আইন সচিবকে এ রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।রিট দায়েরের বিষয়ে আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সই থাকার বিধান সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘষির্ষক।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। কিন্তু সেই ভোটের আগেই এক শতাংশ ভোটারকে সই করে বলতে হবে আমি সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেব।তিনি বলেন, এক শতাংশ ভোটোরের সইয়ের বিধান থাকার কারণে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এই বিধানটা তুলে দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঝামেলামুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ কারণে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেছি।

উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এর ১২ (২) (৩এ) (এ) ধারায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিজ নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত সইযুক্ত তালিকা থাকতে হতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। আর এই ভোটারদের সইয়ের তথ্যের গরমিলের কারণে অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তপসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ হবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি।

মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তপসিল অনুযায়ী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে।প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৯৮৫ জন প্রার্থী, অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ জন প্রার্থীকে।

সূত্র : ইউএনবি