অলআউটের শঙ্কা নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

অলআউটের শঙ্কা নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

সংগৃহীত

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ৮০ রান তুলে লাঞ্চে গিয়েছিল শান্ত বাহিনী। এরপর মধ্যাহ্ন-বিরতি থেকে ফিরে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে মুশি-দিপু জুটি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানে মুশফিকের অপ্রত্যাশিত আউটে ভেঙে যায় তাদের ১৫১ বলে ৫৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত অলআউটের শঙ্কা নিয়ে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে চা-বিরতে গেছে লাল-সবুজেরা।

শুরুর চাপ সামলে পঞ্চম উইকেটে অভিজ্ঞ মুশফিকুরকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখান তরুণ দিপু। দেখেশুনে দলীয় ৫০ রান পার করেন এই দুই ব্যাটার। ৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে লাঞ্চ বিরতিতে নিয়ে যান তারা।

মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০০ পার করে এই জুটি। একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ৫০ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। কাইল জেমিসনের বল ডিফেন্ড করার পর হাত দিয়ে ধরে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

এরপর মিরাজকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন দিপু। মন্থর ব্যাটিংয়ে তিনিও স্পিন ঘূর্ণিতে কাঁটা পড়েন। গ্লেন ফিলিপসের ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ। তার ফেরার খানিক পর সোহানকেও বিদায় করেন ফিলিপস।

এরপর লড়াইয়ে টিকে থাকা মিরাজকেও দলীয় ১৫০ রানের আগেই ফিরিয়েছেন স্যান্টনার। ব্যক্তিগত ২০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিরাজ।

শেষ পর্যন্ত ৫৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাইজুল ও নাঈম।

এর আগে, ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভার থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে কিউইরা।

ভাগ্যক্রমে কয়েকবার রক্ষা পেলেও ২৯ রানে ভাঙে জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের উদ্বোধনী জুটি। জাকির বিদায় নেওয়ার পরই ভাঙনের শুরু। ইনিংসের ১১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে মিড-অনের ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির। কেন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৪ বলে ৮ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর দলীয় ২৯ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার জয়ও। এজাজের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ল্যাথামকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন ওপেনার জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর পুরো দল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে তারাও ব্যর্থ হয়েছেন। শান্ত ৯ ও মুমিনুল ৫ রান করে আউট হলে দলীয় রান ৫০ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।