স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান চ্যালেঞ্জের রিট ফেরত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান চ্যালেঞ্জের রিট ফেরত

স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান চ্যালেঞ্জের রিট ফেরত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর থাকার বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট ফেরত দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটি আজ ফেরত দেন।রিটকারী আইনজীবী ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানান, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে একটি রিট মামলায় ইতিপূর্বে রায় দিয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। তিনি এ কারণে এই মামলা শুনবেন না। অন্য বেঞ্চে আবার রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানান এ আইনজীবী।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রায়হান কাওসার আবেদনকারী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি গতকাল দাখিল করেন। রিটে ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধানের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন-সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা দেয়ার প্রয়োজন হবে না।  

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তার চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার বলে মনে করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ এই নিশ্চয়তা দিয়েছে। আরপিও-এর ১২(৩ক)(ক) বিধানের কারণে ভোটারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কারণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হচ্ছে। বিধানটি সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে রিটে দাবী করা হয়।

সূত্র : বাসস