দেশে শিশুমৃত্যু হার কমেছে ৫ শতাংশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে শিশুমৃত্যু হার কমেছে ৫ শতাংশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাহিদ মালেক

দেশে এখনও প্রতিবছর ৬৫ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে। গত বছরে তুলনায় চার থেকে পাঁচ শতাংশ কমেছে, যা এখনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টুরোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ ৯-১৪ ডিসেম্বর ২০২৩’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এবারের পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি, দেশে এখনও প্রতিবছর ৬৫ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া প্রায় সাড়ে চার হাজার নারী শিশু জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এটা আগে দ্বিগুণের বেশি ছিল, বর্তমানে অনেক কমেছে। গত বছরে তুলনায় চার থেকে পাঁচ শতাংশ কমেছে। কিন্তু এখনও অনেক বেশি আছে। অর্থাৎ মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পুরোপুরি নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যারা মা হবেন, তাদেরকে নিরাপদ মাতৃত্ব কি সেটা বোঝাতে হবে। আমাদের বাল্যবিয়ে পরিহার করতে হবে। দেশে এখনও ৫০ শতাংশ বাল্যবিয়ে হয়ে থাকে। বাল্যবিয়ের কারণে মাতৃমৃত্যু এবং শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বাল্যবিয়ে আমাদেরকে কমাতে হবে। বাচ্চা প্রসবের জন্য সঠিক মানের ক্লিনিক ও হাসপাতাল থাকতে হবে। সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০ এ নামিয়ে আনতে হবে, যেটা বর্তমানে ১৫৬ আছে। শিশু মৃত্যুর হার ১২ তে নামিয়ে আনতে হবে, এখন যেটা ২২ এ রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে যা আছে তার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। সাত বছরের মধ্যে এটা আমাদের করতে হবে।