বিসিসির ১৩৪ কর্মচারী চাকরিচ্যুত, তালিকায় আরও ৫১

বিসিসির ১৩৪ কর্মচারী চাকরিচ্যুত, তালিকায় আরও ৫১

সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১৩৪ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও ৫১ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করা হবে বলে বিসিসি সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে দৈনিক মজুরিভিত্তিক এসব কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করা হয়। ওইদিন রাতেই নিয়োগ বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা যায়, বিদায়ের আগমুহূর্তে দৈনিক মজুরিভিত্তিক এসব কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যান সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সে সময় প্রায় ৩০০ কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিসিসি সূত্র বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখা সূত্র জানায়, নিয়োগ বাতিল হওয়া এসব কর্মচারী পরিচ্ছন্নতা, প্রশাসন, হাটবাজার, ভান্ডার, বিদ্যুৎ-সম্পত্তি, জন্মনিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য, জনসংযোগসহ বিভন্ন শাখায় কর্মরত ছিলেন।

সূত্র মতে, আরও ৫১ জন কর্মচারীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। রোববার ওই ৫১ জনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বিসিসির কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তারা যোগদানের আগেই দুই মাস অ্যাডভান্স বেতন নিয়েছেন। সাবেক মেয়র সাদিক বিদায়ের এক মাস আগে প্রায় ৩০০ দৈনিক মজুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ তাদের কোনো নির্দিষ্ট কাজের জায়গা নেই। নিয়োগে কোনো কমিটিও করা হয়নি। নতুন পরিষদ দায়িত্ব নিয়ে জরুরি সভায় বাড়তি এই কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

তবে নানা অভিযোগ তুলেছেন চাকরি হারানো কর্মচারীরা। বিসিসির নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে নগর ভবনে আসলে তাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন, তার আর কর্মস্থলে আসতে হবে না।

অফিস সহকারী তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, তিনি নভেম্বর মাসের ১ তারিখ চাকরিতে যোগদান করেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি অস্থায়ী কর্মচারী দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের শর্ত ছিল, যখন ইচ্ছা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি বাতিল করতে পারবে। তাই ১৩৪ জনের নিয়োগ গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৫১ জনের নিয়োগ আগামী রোববার বাতিল করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র পদ থেকে বিদায় নেন গত ৯ নভেম্বর। আর ১৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত