আমার ক্যারিয়ারে সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ উইকেট: সাউদি

আমার ক্যারিয়ারে সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ উইকেট: সাউদি

সংগৃহীত

মিরপুরে বৃষ্টিস্নাত টেস্টের প্রথম দিন খেলা হয়নি ৮.২ ওভার। দ্বিতীয় দিন একটি বলও হয়নি। তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে সাকল্যে ৩২.৩ ওভার। টেস্টের এমন চিত্র, তারপরও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। পরিচিত উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে হেরে গেছে টেস্ট। হারের পর প্রশ্ন উঠছে, উইকেট এমন বানানো হয়েছে কেন? যেখানে বৃষ্টিতে প্রায় দেড় দিন ভেসে যাওয়ার পরও একদিন আগে টেস্টের ফল হয়ে যায়। এমন উইকেট বানিয়ে টেস্ট খেলানোর যৌক্তিকতাই বা কী?

মিরপুরে জয়ের পর কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি জানালেন, তার খেলা সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ উইকেটে খেলেছেন। বল উচুঁ নিচু হচ্ছে একটু পরপরই। স্পিনারদের বল দিচ্ছে ছোবল। ব্যাটসম্যানদের এজন্য থাকতে হয়েছিল বাড়তি সতর্ক।

ঢাকা টেস্টে হওয়া ১৭৮.১ ওভারে মোট ৩৬ উইকেট পড়েছে। যেখানে স্পিনাররা পেয়েছেন ৩১ উইকেট। ৫টি পেসাররা। উইকেট এমন হবে তা প্রত্যাশায় ছিল নিউজিল্যান্ডের। এজন্য বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমে তারা সফলও। তবে এমন উইকেটকে মোটেও ভালো বলতে নারাজ কিউই অধিনায়ক। স্বাগতিক সুবিধা স্বাগতিক দল নিতেই পারে। তা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু কতটা সেটা নিয়েই বিরাট প্রশ্ন। 

‘আমার ক্যারিয়ারে সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ উইকেট। ব্যাট-বলের লড়াইয়ের ভারসাম্য তো ছিলই না, বোলাররা ম্যাচের ফল নিয়ন্ত্রণ করেছে। মাত্র ১৭০ ওভার খেলা হয়েছে (আসলে ১৭৮.১)। চিত্রই বলে দিচ্ছে ম্যাচে কি হয়েছে। তারপরও সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা জিতেছি যা আনন্দের।’ 

উইকেট নিয়ে সাউদির মূল্যায়ন, ‘এরকম কঠিন উইকেটে ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারা আনন্দের। অবশ্যই গ্লেন ফিলিপসের দুই ইনিংসের ব্যাটিং অবিশ্বাস্য। প্রথম ইনিংসে তার ইনিংসটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার ক্যারিয়ার এখনও শুরুর দিকে। স্পিনে তার বল পড়তে পারার ক্ষমতা দারুণ। যেটা খুবই দারুণ।’

বোলার হিসেবে এমন উইকেটকে কিভাবে সাউদি মূল্যায়ন করছেন সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল। উত্তরে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘আমি আসলে এই উইকেটকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে পারি। আমার মতে, ১৭০ রান প্রথম ইনিংসে হওয়া পুরো চিত্র ফুটিয়ে তুলছে। এটা দারুণ। আমার মতে, এখানে ব্যাট-বলের কোনো লড়াই হয়নি।’

ম্যাচ জিতে মুখে হাসি ফুটলেও সাউদি এমন টেস্টকে অসম্পূর্ণ বলছেন, ‘আমার মতে এই ম্যাচটি অসম্পূর্ণ। কঠিন উইকেট। যেখানে রান পাওয়া ছিল বিরল কিছু। ছোট ছোট কিছু মুহূর্ত, ছোট জুটি এই ম্যাচে বড় প্রভাব রেখেছে। ব্যাট-বলে কিছুটা লড়াই হলেও সেটা চোখে লাগেনি। যদি এমনটা হতো তাহলে জয়টা আরও আনন্দের হতো।’