গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েকদিন গাজার বিভিন্ন অংশে অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনারা। প্রতিদিনই সেখানে হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। আপাতত যুদ্ধবিরতিরও কোনো সম্ভাবনা নেই।

তীব্র লড়াইয়ের কারণে ওই অঞ্চলে খাবার, পানি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আল জাজিরাকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৫০ জনের বেশি মানুষ। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

রোববার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস এবং এর আশেপাশে তীব্র লড়াই অব্যাহত ছিল। এদিকে দক্ষিণে অভিযান বাড়ানোয় লোকজনকে সেখান থেকে উত্তর দিকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু যারা দক্ষিণ থেকে পালিয়ে এখন উত্তরে অবস্থান করছেন তারা এই পরিস্থিতিকে ‘মৃত্যু যাত্রা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

খান ইউনিসে যারা আছেন তাদের আল-মাওয়াসিতে পালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা খুবই বিপজ্জনক একটি এলাকা বলে মনে করা হয়। সেখানে থাকার মতো কোনো জায়গায়ই নেই। বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর, ভবনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে পানি, খাবার, বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। সেখানে টয়লেটে যাওয়ারও সুযোগ নেই। পরিস্থিতি এখন খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই এখন বাস্তুহারা। সেখানে যুদ্ধবিরতির সাত দিনে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেছে তা খুবই সামান্য। অবিলম্বের সেখানে খাবার, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক জিনিসপত্র সরবাহ করা প্রয়োজন। কিন্তু পুনরায় যুদ্ধবিরতি না হলে সেটাও সম্ভব নয়। এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়েছে জাতিসংঘ।