হাসপাতালে ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটালো আল্ট্রাসনোগ্রাম

হাসপাতালে ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটালো আল্ট্রাসনোগ্রাম

ছবিঃ সংগৃহীত।

দীর্ঘ ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম।২০০২ সালে হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ সেবার জন্য জনসাধারণকে জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবাটি চালু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা।

 

সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বল্প পরিসরে জনবল ও সেবা নিয়ে চালু হওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটি শম্বুক গতিতে চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একের পর এক সেবা সম্প্রসারণ করা হয়। চালু হয় প্রসূতি ও সিজারিয়ান সেবা কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় হাসপাতালটিতে চালু হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটি চালুর পর থেকে জনবল সংকট, শয্যা সংকট, যন্ত্রপাতি সংকটসহ নানা সমস্যার গর্ভে পড়ে ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু হওয়ার পর প্রসূতি সেবায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা না থাকায় হাসপাতালটিতে আগত সেবাগ্রহিতারা বিড়ম্বনায় ও বেকায়দায় পড়তে থাকেন। সেবাটির জন্য জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হতো। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো এক্স-রে, ডেন্টাল ও ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই দীর্ঘদিন ধরে। ফলে টেকনিশিয়ানের অভাবে যন্ত্রগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

সালমা আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য ফেনীতে যেতে হতো। প্রসূতি নারীদের জন্য জেলা শহরে যাতায়াতে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন এখানে গর্ববতী নারীদের নানা রকম পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু হয়েছে। এটি একটি ভালো খবর ও স্বস্তির খবর।

ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম জানান, গর্ভকালীন সময়ে প্রায় সকল নারীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। আমি যোগদানের পর থেকে সেবা সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিজার, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও প্যাথেলোজি কার্যক্রম চালু করেছি। হাসপাতালে বর্তমানে সেবার মান বাড়ায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ও প্রত্যাশাও বেড়েছে। প্রত্যাশা ও চেষ্টার সম্মিলনে হাসপাতালটি এগিয়ে যাচ্ছে।