পেঁয়াজ আসছে চীন, মিশর ও তুরস্ক থেকে, কমছে ঝাঁজ

পেঁয়াজ আসছে চীন, মিশর ও তুরস্ক থেকে, কমছে ঝাঁজ

ফাইল ছবি

লাগামহীন চড়া দামের পর তিন দিন পর ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। দেশের অন্যতম পাইকার বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জে এখন নিম্নমুখী পেঁয়াজের দাম। প্রশাসনের টানা অভিযান ও দেশী-বিদেশি পেঁয়াজ প্রবেশ করায় দাম কমছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজ রকম ভেদে বিক্রি হয়েছে কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়। পাশাপাশি বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিকল্প দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি বাড়ালে দ্রুতই দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা চীন, মিশর, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জে দেশীয় পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং চীনের পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বাজারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে আশা করছি।

ব্যবসায়ীদের দাবি, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে মিয়ানমারের পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে। এছাড়া এলসি খোলার এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চীন, পাকিস্তান, মিশর এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব। অন্যদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ালে ভারতের সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাবই পড়বে না বাজারে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সর্বশেষ রোববার ও সোমবার দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২২৬ টন পেঁয়াজ আসে। জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান থেকে ২ হাজার ৪১৯ টন পিয়াজ আমদানি হয় দেশে। তাই পেঁয়াজের দাম চলতি সপ্তাহে আরও কমে যাবে।