চট্টগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২

চট্টগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২

প্রতীকী ছবি

বন্ধুকে নিজ বাসায় এনে দু’জনে মোবাইল ফোনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলে। খেলার এক পর্যায়ে গেমকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা করে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে কিল-ঘুষির আঘাতে মৃত্যু হয় বন্ধু আব্দুল্লাহর। বৃহস্পতিবার তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মো. হাসান (১৫) ও তার মা হাফিসা বেগমকে।

ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, হত্যার পর হাসান তার খালার বাসা আনোয়ারায় চলে যায়। ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে বৈরাগ পানি টাংকি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার মা হাফিসা বেগমকে ইপিজেড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসান ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

ওসি জানান, হাসান তার বন্ধু আবদুল্লাহর পিতাকে ফোন করে তার ছেলে অপহরণ হয়েছে জানিয়ে দাবি করা হয় ১০ লাখ টাকা। নিষেধ করা হয় পুলিশের সহায়তা নিতেও। এত সব করেও বন্ধু হত্যায় নিজেকে আড়াল করতে পারেনি এই কিশোর। হাসানের মা চাকুরি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় আসলে তার সহায়তায় আবদুল্লাহর লাশ গুম করার জন্য মধ্য রাতে বস্তা দিয়ে পেছিয়ে দুই বিল্ডিংয়ের মাঝখানে ফেলে দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে হাসান জানায়, সে এবং আব্দুল্লাহ একই সাথে বন্দরটিলায় লেখাপড়ার সুবাধে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে আবদুল্লাহ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পড়াশুনা শুরু করে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গ্রামের বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে বেড়াতে আসিলে বন্ধু হাসানের সাথে দেখা হয়। তারা বিগত ৪/৫ দিন মাঠে এক সাথে খেলাধুলা করে।