আর্শদিপের বোলিং তোপে উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

আর্শদিপের বোলিং তোপে উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

সংগৃহীত

নিজের প্রথম ওভারে জোড়া শিকার ধরলেন আর্শদিপ সিং। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ফেরালেন আরও দুই ব্যাটসম্যানকে। সতীর্থের দুর্দান্ত শুরুর পর উইকেট শিকারে যোগ দিলেন আভেশ খান। দ্বিমুখী আক্রমণে অল্পেই গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছোট লক্ষ্যে রেকর্ড গড়া জয় পেল ভার‍ত।

জোহান্সবার্গে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘পিংক ডে’ ম্যাচে স্বাগতিকদের অনায়াসে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ১১৭ রানের লক্ষ্য স্রেফ ১৬.৪ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছে সফরকারীরা। বল বাকি থাকার দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটিই (২০০) ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। দুইশ বা এর বেশি বল বাকি থাকতে ভারতের জয় আছে আর কেবল তিনটি।

ঘরের মাঠে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষেই তারা অল আউট হয়েছিল ১১৮ রানে। প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে দেওয়া আর্শদিপ ৩৭ রানে নেন ৫ উইকেট। এই সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ উইকেট পাওয়া ভারতের তৃতীয় বোলার তিনি। ক্যারিয়ারের আগের তিন ওয়ানডেতে আর্শদিপ ছিলেন উইকেটশূন্য। উইকেটের খাতা খোলার দিন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার। আরেক পেসার আভেশ ধরেছেন ৪ শিকার।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় অল্পে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তবে এর কোনো প্রভাব দলের উপর পড়তে দেননি সাই সুদার্শান ও শ্রেয়াস আইয়ার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৭৩ বলে ৮৮ রান। জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে আউট হন শ্রেয়াস। ৬ চার, ১ ছক্কায় ৪৫ বলে তিনি করেন ৫২ রান। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া সুদার্শান অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। ৪৩ বলের ইনিংসে ৯টি চার মারেন অভিষিক্ত ওপেনার। ওয়ানডে অভিষেকে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা ভারতের চতুর্থ ওপেনার তিনি।

দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আর্শদিপের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ওভারে রিজা হেন্ডরিকস ও রাসি ফন ডার ডাসেনকে আউট করেন ২৪ বছর বয়সী পেসার। চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন টোনি ডি জোর্জি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে তাকেও থামান আর্শদিপ। দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ২৮ রান করেন জোর্জি।

পাওয়ার প্লের শেষ বলে আর্শদিপের চতুর্থ শিকার হাইনরিখ ক্লসেন। পরের ওভারের প্রথম দুই বলে এইডেন মার্করাম ও ভিয়ান মুল্ডারকে ফেরান আভেশ। ৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে একপ্রান্ত ধরে রেখে আন্দিলে ফেলুকোয়াইয়ো দলকে পার করান একশ। ৩৩ রান করা ফেলুকোয়াইয়োকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আর্শদিপ। নান্দ্রে বার্গারকে আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান কুলদিপ ইয়াদাভ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৭.৩ ওভারে ১১৬ (হেন্ডরিকস ০, জোর্জি ২৮, ডাসেন ০, মার্করাম ১২, ক্লসেন ৬, মিলার ২, মুল্ডার ০, ফেলুকোয়াইয়ো ৩৩, মহারাজ ৪, বার্গার ৭, শামসি ১১*; মুকেশ ৭-০-৪৬-০ আর্শদিপ ১০-০-৩৭-৫, আভেশ ৮-৩-২৭-৪, কুলদিপ ২.৩-০-৩-১)

ভারত: ১৬.৪ ওভারে ১১৭/২ (গায়কোয়াড় ৫, সুদার্শান ৫৫*, শ্রেয়াস ৫২, তিলাক ১*; বার্গার ৫.৪-১-৩৫-০, মুল্ডার ৪-০-২৬-১, মহারাজ ৩-০-১৯-০, শামসি ৩-০-২২-০, ফেলুকোয়াইয়ো ১-০-১৫-০)

ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ভারত

ম্যান অব দা ম্যাচ: আর্শদিপ সিং